ভূমিকা সভ্যতার প্রথম আমল থেকে আলোচনা শুরু করলেও সময়টা খুব কম নয়। বিজ্ঞানের বইয়ে লেখা হয়, যেদিন আগুন আবিষ্কার হয়েছে, সেদিনই বিজ্ঞানের জন্ম। কথাটা ভুল। দিনক্ষণ ধরে বিজ্ঞান জন্ম নেয়নি। অবশ্য একথা ঠিক, আগুন আর চাকার সাল-তারিখের হিসেবে বিজ্ঞানের কোনো জন্ম-পঞ্জিকা না থাকলেও, একথা অস্বীকার করার উপায় নেই- আধুনিক সভ্যতার মস্ত বড় সঙ্গী এখন বিজ্ঞান। অথচ বিজ্ঞানের এই জয়যাত্রার মূলে অসামান্য যাঁদের অবদান, সেইসব বিজ্ঞানীদের কথা আমরা কতটুকুই বা জানি।
আবিষ্কার না হলে সভ্যতার অগ্রগতি অনেকটাই শ্লথ হয়ে যেত। ইউরোপীয় রেনেসাঁসের মধ্যে দিয়ে আধুনিক বিজ্ঞানের জন্ম। তারও আগে ছিল গ্রিকের সভ্যতা। এমন একটা বিশ্বাসও চিল যে, প্রাচীন গ্রিক সভ্যতা উন্মেষের আগে পৃথিবীতে জ্ঞান ছিল, তথ্য ছিল, বিজ্ঞান ছিল না। এক সময় ধারণা করা হতো বিজ্ঞান সৃষ্টির যাবতীয় অবদান গ্রিসের।
তবে এমন ধারণা বেশিদিন টেকেনি। গ্রিক সভ্যতার চেয়েও প্রাচীনতর সভ্যতার সন্ধান প্রত্নতত্ত্ববিদ ও ঐতিহাসিকেরা খুঁজে পেয়েছেন। প্রাচ্য ভূখণ্ডের মিশরীয়, চৈনিক সভ্যতার কথা আজ শিক্ষিত মানুষ মাত্রই স্বীকার করেন। মানুষের জয়যাত্রার এই উত্থান-পতনের কাহিনী রচনা করেছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে বিজ্ঞানীদের অবদান নিঃসন্দেহে অসামান্য। সব কিছুতেই বিজ্ঞান সম্মুখ সারিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছে। এই প্রতিষ্ঠাকার বিজ্ঞানীদের কথা রচনা করাই এই বইয়ের উদ্দেশ্য।