"কাভারিং ইসলাম" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: এডওয়ার্ড সাঈদ পণ্ডিত, নন্দনতাত্ত্বিক ও সক্রিয় রাজনীতিকের বিরল সমন্বয়। সকল ক্ষেত্রেই তিনি আমাদের চ্যালেঞ্জ করেন, উদ্দীপ্ত করেন। - ওয়াশিংটন পােস্ট বুক ওয়ার্ল্ড ইরানের জিম্মি সঙ্কট থেকে উপসাগরীয় যুদ্ধ ও ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বােমা বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে পশ্চিম এখন ‘ইসলাম’ নামক 'এক ভূতের আছরে অস্থির। প্রচার মাধ্যম এবং সেই সাথে সরকারী, বিদ্যায়তনিক ও কর্পোরেট বিশেষজ্ঞদের নির্মিত ভাবমূর্তির কারণে ইসলাম যেন সন্ত্রাস ও ধর্মোন্মাদনার আরেক নাম। একই সময়ে, ইসলামী দেশগুলাে ইসলাম’-এর নামে বৈধ করে নিচ্ছে তাদের জনসমর্থনহীন ও প্রায়শই দমনমূলক শাসন ব্যবস্থা। আমাদের এক প্রধানতম গণচিন্তাবিদ অনুসন্ধান করে দেখেছেন প্রচার মাধ্যমের নির্মিত আদিম ইসলামের ভাবমূর্তির গােড়াটা কোথায়, এ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিগুলাে কেমন। রাজনৈতিক ভাষ্য ও সাহিত্য সমালােচনার সমন্বয়ে এডওয়ার্ড সাঈদ দেখিয়েছেন ইসলাম সম্পর্কে সবচেয়ে “নিরপেক্ষ’ কাভারেজের পেছনেও সক্রিয় থেকেছে গােপন আন্দাজ ও বয়ানী বিকৃতি। 'এডওয়ার্ড সাঈদ আমেরিকার সেইসব গুটিকয় ব্যক্তির একজন যারা বাকী পথিবী সম্পর্কে বােধগম্য কথা বলেন। - গার্ডিয়ান
এডওয়ার্ড ডব্লিউ সাঈদের জন্ম ১৯৩৫ সালে, ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে এক এপিসকোপ্যালিয়ান খ্রিস্টান পরিবারে। ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর উদ্বাস্তুর নিয়তি মেনে কিশাের বয়সে পরিবারের সাথে মিশরে পাড়ি জমান। কিছুকাল কায়রাের ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। এখানে মাউন্ট হারমান স্কুল, প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি এবং হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে পাঠ শেষে ১৯৬৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যােগদান করেন। ওখানেই আজীবন ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য পড়িয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইংল্যান্ডের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসরের দায়িত্ব পালন করেন। ফিলিস্তিনী মুক্তি আন্দোলনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট ছিলেন সাঈদ। ১৯৭৭ সালে প্রবাসী ফিলিস্তিন পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে ইসরাইল-ফিলিস্তিন চুক্তিসংক্রান্ত মতবিরােধে পদত্যাগ করেন তিনি। এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের পিতা সাঈদ প্রায় এক যুগ ধরে ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিলেন। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এই মহান মানুষটি।