ফ্ল্যাপে লিখা কথা শরীরের সাথে দাঁত ও মুখের রোগের যোগসূত্র রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন সিস্টেমিক রোগে দাঁত ও মুখের নানাবিধ সমস্যা দেখা যায়। এসব ক্ষেত্রে দাঁত ও মুখের চিকিৎসা করতে হয় কিছু নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে। ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী যা সাধারণ জনগণের এখনো অজানা। এছাড়া বিক্রেতারাও মুখস্থ ওষুধ রোগীদের নিকট বিক্রয় করেন যার ফলে অনেক সময় মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এসব বিষয়ে সাধারণ জনগণকে আরো বেশি সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে বইটিতে বিশেষভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। দাঁত ও মুখের রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই বইটি যথেষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। অনেক সময় কিছু কুসংস্কার এবং ধর্মীয় বিধান ঠিকভাবে না বুঝার কারণেও দাঁত ও মুখের যত্নে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে, যার সমাধান বইটিতে প্রদান করা হয়েছে। লাল মাশরুম মুখের রোগ থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই বইটিতে লাল মাশরুম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। লাল মাশরুম বিষয়ে লেখাগুলো শুধু স্বাস্থ্য সরক্ষায় ভূমিকা রাখবে না রবং বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে যুব সমাককে আগ্রহী করে তুলবে। বইটি লেখার সময় অনেক ত্যাগ স্বীকার করে আমার স্ত্রী টুনটুন আমাকে সহযোগিতা করেছেন। আমি তার নিকট চিরকৃতজ্ঞ।
ডা. মাে. ফারুক হােসেনের জন্ম লক্ষ্মীপুর জেলায়। তিনি মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৯২ সালে তিনি ঢাকা ডেন্টাল কলেজ থেকে বি.ডি.এস ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তকালীন পিজি হাসপাতাল থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ডাক্তারীর পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ ডেন্টাল সােসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানেও দায়িত্ব পালন করেন। লেখালেখির শুরু ছাত্রজীবন থেকে। ২০০৫ সাল থেকে জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রের স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়মিতভাবে লিখে আসছেন। এছাড়া বিভিন্ন ম্যাগাজিনেও স্বাস্থ্য বিষয়ে তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ঢাকা ডেন্টাল কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ডেন্টাল এডমিশন গাইড ইমপ্রেশনের সম্পাদক ছিলেন। ছাত্র জীবনে ঢাকা ডেন্টাল কলেজের পক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রতিযােগিতামূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। মালয়েশিয়া ভিত্তিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি গ্যানাে এক্সেলের হেলথ এ্যাডভাইজার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন এম.এস রেসিডেন্ট।