ভূমিকা চার বছর আগে নাট্য ত্রৈমাসিক থিয়েটারের প্রথম বর্ষের চারটি সংখ্যা এক খণ্ডে পুনর্মুদ্রিত হয়ে প্রকাশ করেছিল ‘ঐতিহ্য প্রকাশনী’। কথা ছিল পর্যায়ক্রমে পরবর্তী খণ্ডগুলোও বেরোবে। কিন্তু ঐতিহ্যকে পক্ষে প্রকাশ করা সম্ভব করা না হওয়াতে নালন্দা প্রকাশনীর আগ্রহে থিয়েটার পত্রিকার দ্বিতীয় বর্ষের চারটি সংখ্যা পুনর্মুদ্রিত হয়ে প্রকাশিত হচ্ছে।
থিয়েটার এবার প্রকাশনার চল্লিশ বছরে পা দিয়েছে। একটি নাট্য পত্রিকার জন্যে এটা দীর্ঘজীবনই বটে। নাট্যকর্মী ও পাঠকদের উৎসাহের কারণে এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় আমাদের পক্ষে এ দীর্ঘপথ অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে।
প্রায়ই নাট্যকলার শিক্ষার্থী ও গবেষকরা থিয়েটার পত্রিকার পুরনো সংখ্যার খোঁজে আসেন। কিন্তু প্রথম দশ বছরের পত্রিকা এখন দুষ্প্রাপ্য। সেকারণেই সে সময়ের পত্রিকার ঐতিহাসিক মূল্য বিবেচনা করে আমরা এ পুনর্মুদ্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগেরবারের মত এবারও আমাদের ইচ্ছা বাস্তবায়নে মূল ভূমিকা পালন করেছেন নাট্যতথ্য গবেষক বাবুল বিশ্বাস। বাবুল অবশ্য সম্প্রতি থিয়েটার পত্রিকার প্রকাশনার সাথে যুক্ত হয়েছেন।
বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর আমাদের যে নবনাট্যচর্চা, তার ইতিহাস খুব একটা লিপিবদ্ধ হয়নি। আগ্রহী প্রাবন্ধিক ও গবেষকরা এ ব্যাপারে এগিয়ে আসবেন বলে আমরা আশা রাখি। সে কাজে যেসব পত্রপত্রিকা সহায়ক হবে তার মধ্যে থিয়েটার পত্রিকা অন্যতম। বিশেষ করে এ পত্রিকায় ১৬০টিরও বেশি নাটক প্রকাশিত হয়েছে- যার সিংহভাগই গ্রন্থাকারে বেরোয় নি। সে সব পড়া বা অংশ উদ্ধৃত করা প্রয়োজন হলে খোঁজ পড়ে থিয়েটার পত্রিকার তাই পুনর্মুদ্রণের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা তেমন না থাকলেও প্রয়োজনটা অনস্বীকার্য। আমরা চাইব, গ্রন্থাগারগুলো পুনর্মুদ্রিত থিয়েটার সংগ্রহ করে পাঠক-গবেষকের প্রয়োজন মেটাবে।
নালন্দার রেদওয়ানুর রহমান জুয়েলকে ধন্যবাদ ও প্রকাশনার দায়িত্ব নেয়ার জন্যে। তাঁর আগ্রহ বজায় থাকলে পরবর্তী খণ্ডগুলোও আলোর মুখ দেখবে বলে আশা রাখি।
রামেন্দু মজুমদার ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১১
সূচি থিয়েটার পত্রিকা নাট্য ত্রৈমাসিক দ্বিতীয় বর্ষ : প্রথম সংখ্যা
থিয়েটার পত্রিকা নাট্য ত্রৈমাসিক একাঙ্ক সংখ্যা দ্বিতীয় বর্ষ : দ্বিতীয় সংখ্যা
থিয়েটার পত্রিকা নাট্য ত্রৈমাসিক দ্বিতীয় বর্ষ : তৃতীয় সংখ্যা
থ্রিয়েটার পত্রিকা নাট্য ত্রৈমাসিক দ্বিতীয় বর্ষ : চতুর্থ সংখ্যা
জন্ম ১৯৪১ সালের ৯ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম.এ পাস করার পর পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন অধ্যাপনাকে। পরবর্তীকালে বিজ্ঞাপনশিল্পের সঙ্গে যুক্ত হন, কাজ করেন করাচি ও নয়াদিল্লিতে এবং ১৯৭২ থেকে ঢাকাতে। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর এ দেশের প্রথম নাটকের পত্রিকা থিয়েটার প্রকাশ করেন। প্রতিষ্ঠা করেন নাট্যগোষ্ঠী ‘থিয়েটার’। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে নাটক করেছেন, দীর্ঘদিন সংবাদ পাঠ করেছেন। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট (আইটিআই)র বাংলাদেশ কেন্দ্র ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট-এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। আইটিআই-র বিশ্ব সভাপতি ছিলেন ছয় বছর, বর্তমানে সাম্মানিক সভাপতি। বাংলাদেশের নাট্যচর্চায় তাঁর অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে লাভ করেছেন একুশে পদক ও বাংলা একাডেমির সম্মানসূচক ফেলোশিপ। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য।