ইংরেজি-বাংলা অভিধান ধারায় নবতম এই অভিধানটি একটি বিশিষ্ট সংযোজন। এটি তৈরি করার সময়ে যুগোপযোগী ও বিষয়ানুযায়ী শব্দচয়ন ও বিন্যাস এবং অর্থবিন্যাসে আধুনিকতম অভিধান প্রণয়ন-শিল্পের কথা মাথায় রাখা হয়েছে। যেসব ছাত্রছাত্রীর মাতৃভাষা বাংলা বা যাদের শিক্ষার মাধ্যম বাংলা এবং যারা দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজি শিখছে, তারা ছাড়াও ইংরেজি ভাষার শিক্ষক, অনুবাদক এবং সাধারণ পাঠক এই অভিধানটি থেকে বিশেষ উপকৃত হবেন বলে আশা করা যায়। এতে মূল শীর্ষশব্দ, উপশীর্ষশব্দ, মুলোদ্ভূত শব্দ, বহুসংখ্যক সমাসবদ্ধ শব্দ, প্রচুর বাগধারা ও প্রয়োগবিধির দৃষ্টান্ত আছে। ইংরেজি ভাষার নিজস্ব প্রচলিত শব্দ ছাড়াও ভারতীয় ভাষায় শিক্ষা ও জীবনের নানা ক্ষেত্র থেকে গৃহীত সাধারণ ও বিশেষ বেশ কিছু শব্দ এর মধ্যে স্থান পেয়েছে, যেমন কম্পিউটার-বিজ্ঞান, গণিত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বাণিজ্য, ভূবিদ্যা, অর্থনীতি ইত্যাদি। ব্যবহারকারীর দৈনন্দিন প্রয়োজনের প্রতি দৃষ্টি রেখেই এটি সংকলিত। এই অভিধানটি একটি ইংরেজি-ইংরেজি-বাংলা অভিধান। এখানে প্রতিটি শীর্ষশব্দের প্রথমে ইংরেজিতে ও পরে বাংলায় অর্থ দেওয়া হয়েছে। এর প্রধান উদ্দেশ্য দুটি : (১) শব্দের মানে বোঝানো এবং (২) ইংরেজি ভাষার ব্যবহার পদ্ধতি সাধ্যমত শেখানো। প্রয়োজনে একাধিক বাক্যের সাহায্যে অর্থ বোঝানো হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেটি আরও স্পষ্ট করার জন্য রেখাচিত্র এবং ছবির সাহায্য নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক শব্দবিদ্যাসম্মত উচ্চারণচিহ্নের সঙ্গে সঙ্গে শব্দগুলির ব্যাকরণগত অবস্থান, বৈশিষ্ট্য এবং পদসম্বন্ধীয় তথ্যাদি দেওয়া হয়েছে। মূল শীর্ষশব্দগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য নানাবিধ শব্দের ব্যাখ্যা হালকা ধূসর প্রেক্ষাপটের উপর চৌখুপির মধ্যে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার দেখানো হয়েছে। এছাড়াও শব্দের সঠিক প্রয়োগকৌশল ও ব্যবহার পদ্ধতি সম্বন্ধে সমস্ত অভিধান জুড়েই নানা টিপ্পনী ও মন্তব্য আছে। উপক্রমণিকা ও পরিশিষ্ট অংশে আলাদাভাবে ব্যাকরণ, উচ্চারণ, সংখ্যা প্রভৃতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা ছাড়াও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন বিষয়ের কয়েকটি তালিকাও আছে। প্রায় পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি শব্দ ও শব্দ-নির্দেশ আছে। যতদূর সম্ভব বাংলা ভাষার স্বাভাবিকতা বজায় রেখে কথ্য ও প্রচলিত বাংলা ব্যবহারের চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলা বানানে এখনও সমতার অভাব। সেই কথা মনে রেখে বানানে, সাধ্যমত সমতাবিধানের ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির বানানবিধি অনুসরণ করা হয়েছে। বাংলা লেখার রীতিতেও প্রয়োগগত সমতাবিধানের জন্য স্বরচিহ্নযুক্ত একক ব্যঞ্জন বা যুক্তব্যঞ্জনবর্ণের বিন্যাসে সেগুলিকে যথাসম্ভব একই চেহারায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়েছে (যেমন ও > শুরু > রু অথবা ক্ত > ষ্ক, ত্ত্ব > স্তু)। এবিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির যুক্তিসংগত সিদ্ধান্তকেই শিরোধার্য বলে মনে করা হয়েছে—“আধুনিক মুদ্রণে যেহেতু আর পূর্ব থেকে প্রস্তুত করা ঢালাই হরফের প্রয়োগ বা ব্যবহার অপরিহার্য নয়, তাই হরফের সমতাবিধান বর্তমানে সম্ভব ও সংগত। কেবল সামান্য অভ্যাসেই তা চোখে মানানসই ও ব্যবহারে সন্তোষজনক হতে পারে।” সীমিত পরিসর ও ক্ষমতার মধ্যে যতদূর সম্ভব অভিধানটি এমনভাবে তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে যে আশা করা যায় ইংরেজি ভাষা শেখা এবং সে বিষয়ে আরও জানার ক্ষেত্রে বাংলাভাষাভাষী সর্বস্তরের পাঠক পাঠিকার জন্যই এটি বিশেষ কার্যকরী হবে। এই জাতীয় একটি কাজ একক প্রচেষ্টায় সম্পন্ন করা অসম্ভব। বলাই বাহুল্য আমরাও আমাদের পূর্বসূরী বিভিন্ন ধরনের অভিধান-প্রণেতাদের বইগুলি থেকে সাহায্য নিয়েছি, অনেক কিছু শিখেছি। তাঁদের সকলের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। যথেষ্ট যত্ন নেওয়া সত্ত্বেও মুদ্রণ প্রমাদ বা অন্যান্য আরও কিছু ভুলত্রুটি থেকে যেতে পারে। ব্যবহারকারী এ বিষয়ে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুপরামর্শ দিলে আমরা উপকৃত হব।
Oxford University Press (OUP) is the largest university press in the world, and the second oldest after Cambridge University Press. It is a department of the University of Oxford and is governed by a group of 15 academics appointed by the vice-chancellor known as the delegates of the press. They are headed by the secretary to the delegates, who serves as OUP's chief executive and as its major representative on other university bodies. Oxford University has used a similar system to oversee OUP since the 17th century. The Press is located on Walton Street, opposite Somerville College, in the suburb of Jericho.