সূচিপত্র বিবৃতি প্রার্থনা তুমি স্বপ্ন, একুশে ভাদ্র মহারাজ, আমি তোমার অসুখের ছড়া শুধু কবিতার জন্য আমার খানিকটা দেরি হয়ে যায় জুয়া হিমজুগ পাপ ও দুঃখের কথা ছাড়া আর কিছুই থাকে না রাখাল আমার কয়েকটি নিজস্ব শব্দ প্রত্যেক তৃতীয় চিন্তা সাবধান নির্বাসন জ্বলন্ত জিরাফ প্রেমহীন আমি কী রকম ভাবে বেচে আছি আমি ও কলকাতা অনর্থক নয় চোখ বিষয়ে ক্লান্তির পর মৃত্যুদন্ড শব্দ-২ সকল ছন্দের মধ্যে আমিই গায়ত্রী এবার কবিতা লিখে গহন অরণ্যে চিনতে পারোনি ছায়ার জন্য দুটি অভিশাপ আথেন্স থেকে কায়রো ডাক বাংলোতে কেউ কথা রাখেনি অরূপ রাজ্য জয়ী নই, পরাজিত নই বাড়ি ফেরা ইচ্ছে জলের সামনে সহজ দুপুর চত্বরের ভূমিকা তুমি হঠাৎ নীরা জন্য চোখ বাধা নীরা তোমার কাছে নীরার জন্য কবিতার ভূমিকা এই হাত ছুঁয়েছিল দেখা হবে নীরার অসুখ ভালবাসা নীরার হাসি ও অশ্রু কৃতঘ্ন শব্দের রাশি প্রবাসের শেষে মানে আছে নারার দুঃখকে ছোঁয়া বিদেশ সত্যবদ্ধ অভিমান চেনার মুহূর্ত সখী আমার তুমি যেখানেই যাও বয়েস ভালোবাসার পাশেই একটি কথা নারী নারী ও শিল্প বন মর্মর কবিতা মুর্তিমতী তোমার কাছেই ছবি খেলা সুন্দরের পাশে সেদিন বিকেলবেলা এই দৃশ্য দেখা নীরার কাছে ইচ্ছে হয় সারাটা জীবন শিল্প মিথ্যে নয় অপরাহ্ন জীবন ও জীবনের মর্ম শব্দ দ্বার ভাঙ্গা জেলার রমনী উত্তরাধিকার .............. আরও
বিশ শতকের শেষাংশে জন্ম নেওয়া সব্যসাচী একজন বাঙ্গালি সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, সম্পাদক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট- এমন বহু পরিচয়ে সাহিত্যের অগণিত ক্ষেত্রে তিনি রেখেছেন তাঁর সুকুমার ছাপ। নীললোহিত, সনাতন পাঠক কিংবা কখনো নীল উপাধ্যায় ছদ্মনামে প্রকাশিত হয়েছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর বই সমূহ। অধুনা বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪। কিন্তু মাত্র চার বছর বয়সেই স্কুল শিক্ষক বাবার হাত ধরে সপরিবারে পাড়ি দিয়েছিলেন কলকাতায়। ১৯৫৩ সালে সাহিত্যে বিচরণ শুরু হয় কৃত্তিবাস নামের কাব্যপত্রিকার সম্পাদনার মধ্য দিয়ে। ১৯৫৮ সালে প্রকাশ পায় প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘একা এবং কয়েকজন’। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর বই মানেই পাঠকের কাছে আধুনিকতা আর রোমান্টিকতার মেলবন্ধন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কবিতার বই হলো ‘আমি কী রকম ভাবে বেঁচে আছি’, ‘যুগলবন্দী’ (শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে), ‘হঠাৎ নীরার জন্য’, ‘রাত্রির রঁদেভূ’ ইত্যাদি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বই সমগ্র ‘পূর্ব-পশ্চিম’, ‘সেইসময়’ এবং ‘প্রথম আলো’ তাঁকে এপার, ওপার আর সারাবিশ্বের বাঙালির কাছে করেছে স্মরণীয়। ‘কাকাবাবু-সন্তু’ জুটির গোয়েন্দা সিরিজ শিশুসাহিত্যে তাকে এনে দিয়েছিলো অনন্য পাঠকপ্রিয়তা। তাঁরই উপন্যাস অবলম্বনে কিংবদন্তী পরিচালক সত্যজিৎ রায় পরিচালনা করেছিলেন ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ এবং ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’র মতো চলচ্চিত্র। পাঠক সমাদৃত ভ্রমণকাহিনী ‘ছবির দেশে কবিতার দেশে’ কিংবা আত্মজীবনীমূলক ‘অর্ধেক জীবন বই’তে সাহিত্যগুণে তুলে ধরেছিলেন নিজেরই জীবনের গল্প। ২০১২ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চার দশকে তিনি পরিচিত ছিলেন জীবনানন্দ পরবর্তী পর্যায়ের অন্যতম প্রধান কবি এবং বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসেবে।