ফ্ল্যাপে লিখা কথা ডেরার ভেতর গিয়ে বসালো আরিফ। ডেরা আজ খালি। মাঝে মাঝে লোক থাকে। লোক-মানে ওর মতো নেশা করতে আসা লোক। সবাই যার যার মাল টানায় ব্যস্ত। কেউ কখনো কারো কাছে কারো নাম পরিচয় জানতে চায় না। একে একে তিনটা পুরিয়া শেষ করলো আরিফ। আরিফের এই এক অভ্যাস, একবারে বেশি করে না খেলে তার চলে না। কিছু সময় পর থেকে আস্তে আস্তে পরিচ্ছন্ন হতে থাকে আরিফের চৈতন্য। চৈতন্য পরিষ্কার হয়ে ওঠার সাথে সাথে একটা অপরাধবোধ জেগে উঠল আরিফের মনে- মাসুমাকে প্রতিদিন কি যে ঠকানো হচ্ছে। স্বামীর কষ্ট বেশি, আয় ভালো না ভেবে মেয়েটা নিজের জন্য ভালো কিছু দাবিও করে না কোনোদিন, অথচ আমি নেশার পেছনে খরচ করে চলেছি টাকা আর সময়। একজন বুয়েট পাস করা ইঞি।জ িয়ার বিবাহিত, সংসারী দায়িত্ববান মানুষ নেশা করছে কীনা জিজ্ঞেস করতে তৌফিকের দ্বিধা লাগছিল। কিন্তু কেথাটা শেষ করা দরকার। তাই নিজের দ্বিধা পাশে ঠেলে তৌফিক জিজ্ঞেস করলো- কোন নেশা করে? মদ গাঁজা হেরোইন?
......... আমার মতো যারা তাদেরকে হাত পাততে হয় নিজেকে মাঝে মাঝে ভিক্ষুক ভিক্ষুক মনে হয়। কথাটা বলতে বলতে কেঁদে ফেলে কৃষ্ণকলি। ........... ভিক্ষুকের কোনো আত্মসম্মান থাকতে নেই। কঠিন গলায় বলল রতন। ওর গলা শুনে নিজের মধ্যে প্রচণ্ড একটা ধাক্কা খেল কৃষ্ণকলি। তারপর..........