ফ্ল্যাপে লিখা কথা এ গল্প ট্রেসি হুইনির ,সিডনি শেলডনের এ যাবতকালের সবচেয় আলোচিত চরিত্র।
ট্রেসি সুন্দরী ,স্বপ্নদ্রষ্টা, আবেগী। কিন্তু শিঘ্রি তাকে প্রবেশ করতে হয় প্রতিশোধ আর প্রতিহিংসার এক কঠিন জীবনে, যে জীবন তাকে নিয়ে যায় চোখ ধাঁধানো সম্পদ, অবিশ্বাস্য প্রতারণার জগতে যেখান থেকে পালাবার পথ নেই। এক বিপজ্জনক পৃথিবীতে প্রবেশ করে ট্রেসি যেখানে ফাঁদ পাতে প্রেম ও কামনা, যে দুনিয়া তাকে তার গোপন স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়......
ভূমিকা সিডনি শেলডনের প্রায় প্রতিটি কাহিনীর হিরো এক বা একাধিক নারী। এই নারীদের সকলেই সুন্দরী, বুদ্ধিমতী,প্রেমময়ী, কোমল এবং প্রতিহিংসারপরায়ণ। পরিবেশ ও পরিস্থিতির কদর্যতা বাধ্য করে সহজ সরল মেয়েগুলোকে গরল জীবন বেছে নিতে, তারা হয়ে ওঠে দুঃসাহসিক এবং প্রতিশোধ গ্রহণের স্পৃহা ভয়ংকর । ইফ টুমরো কামস এর ট্রেসি হুইটনির জীবনও ছিল আর দশটা সাধারণ মেয়ের মতো। কিন্তু সমাজের কদর্য ও নোংরা এক শ্রেণীর মানুষের ষড়যন্ত্রে সেই সাধারণ মেয়েটি পা বাড়াতে বাধ্য হয় অপরাধের অন্ধকার জগতে। দারুন কোমল আর ভালোবাসায় ভরাট অন্তরের ট্রেসির যে রূপান্তর আমরা দেখি তা আমাদেরকে চমকে দেয়,শিহরিত করে, ক্রাইম করা সত্ত্বেও তার প্রতি ক্রব্ধ হই না বরং সহানুভূতিতে পূর্ণ হয় অন্তর। অপরাধ জগতে পা দিয়ে যে অদ্ভুত কৌশলের সঙ্গে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে থাকে ট্রেসি তা যেমন অভিনব, তেমনই রোমাঞ্চকর। তবে প্রতিশোধ গ্রহণই শেষ কথা নয়, এরপরে ট্রেসি সমাজের বিত্তশালীদেরকে টার্গেট করে একটির পর একটি যে রুদ্ধশ্বাস চমক সৃষ্টি করে তা সত্যি অতুলনীয়। শেলডনের থ্রিলার মানেই শিহরণ আর রোমাঞ্চের জগতে প্রবেশ। আর প্রতিটি অন্যায়ের শেষে যে চমকটি থাকে তার উত্তেজনা বইটির শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত ধরে রাখে। ইফ টুমরো কামসও যে আপনাদেরকে উত্তেজনার শিখরে নিয়ে যাবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই! অনীশ দাশ অপু
পাঠকনন্দিত অনুবাদক অনীশ দাস অপু ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা প্রয়াত লক্ষ্মী কান্ত দাস। ১৯৯৫ সালে এই কৃতি লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর পাস করেন। ছাত্রাবস্থায়ই তিনি দেশের জনপ্রিয় ও শীর্ষস্থানীয় সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক পত্রিকাগুলোতে অনুবাদক হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন, এবং ফিচার, গল্প ও উপন্যাস অনুবাদ করতে থাকেন। অনীশ দাস অপু এর বইগুলো সাধারণত থ্রিলার ও হরর ধাঁচেরই হয়ে থাকে। তবে ক্লাসিক ও সায়েন্স ফিকশনেও অনুবাদেও পিছিয়ে নেই তিনি। অনীশ দাস অপু এর বই সমূহ এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ, আ স্ট্রেঞ্জার ইন দ্য মিরর (সিডনি শেলডন), দ্য স্কাই ইজ ফলিং (সিডনি শেলডন), সিলেক্টেড মিস্ট্রি স্টোরিজ (আলফ্রেড হিচকক), শ্যাডো অফ দ্য ওয়্যারউলফ (গাই এন স্মিথ), ইলেভেন মিনিটস (পাওলো কোয়েলহো), প্রেত, শাঁখিনী, কিংবদন্তীর প্রেত, আয়নাপিশাচ, পিশাচবাড়ি ইত্যাদি। এ পর্যন্ত তাঁর অনূদিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় চার শতাধিক। অনীশ দাস অপু এর বই সমগ্র বাংলাদেশের থ্রিলার ও হরর পাঠকদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বাংলাদেশে পাশ্চাত্য ধারার হরর গল্প ও উপন্যাস লেখার ক্ষেত্রে তিনি যোগ করেছেন এক নতুন মাত্রা, পেয়েছেন তুমুল পাঠকপ্রিয়তা। নিজের মূল পেশা হিসেবে লেখালেখি বেছে নিলেও অনীশ দাস অপু যুক্ত আছেন সাংবাদিকতার সাথেও। ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকার সিনিয়র সাব-এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন এই কৃতি অনুবাদক ও লেখক।