ফ্ল্যাপে লিখা কথা মাঠ-গবেষণা, ধ্রুপদী সমাজতত্ত্ব, পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্র এবং শিক্ষা ও সাহিত্যের সমাজতত্ত্ব বিষয়ে চৌদ্দটি রচনার সংখলন ম্যালিনোস্কির মাঠ-গবেষণা সামাজিক তত্ত্ব ও অন্যান্য। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যারয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক প্রিয়া সরকার-এর এই গ্রন্থ থেকে কৌতূহলী পাঠক ধ্রুপদী সমাজতত্ত্বের নানা বিষয় সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন। এখঅনে কৌঁতে, মর্গ্যান, মার্কস, স্পেন্সার, প্যারেটো, ডুরখেইম, ওয়েবার, ম্যানহাইম-প্রমুখ সমাজবিজ্ঞানীর নানা মতবাদের পাশাপাশি পাঠক পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্র বিষয়েও বিশ্লেষণাত্মক বিবেচনার সাক্ষাৎ পাবেন। এ ছাড়াও এখানে আছে মাঠ-গবেষণা বিষয়ে ম্যালিনোস্কির তত্ত্ব এবং শিক্ষা ও সাহিত্য বিষয়ে সমাজতত্ত্বিক মূল্যায়ন। গ্রথিত রচনাগুলো নৃবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে আসবে বলে আমাদের গভীর বিশ্বাস।
শিপ্রা সরকার-এর রচনার প্রধান গুণ সারল্য এবং সাবলীলতা। চমৎকার এক গতিশীল গদ্যে অনায়াসে তিনি পাঠককে নিয়ে যেতে পারেন বিষয়ের গভীরে। ভাষার সাবলীলতা এবং স্বচ্ছ বিবেচনার কারণে শিপ্রা সরকার-এর রচনা পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বর্তমান গ্রন্থেও সচেতন পাঠক গ্রন্থকারের এর গবেষকসত্তার এ সব বৈশিষ্ট্যের পরিচয় পাবেন বলে আমরা ধারণা করছি।
Title
ম্যালিনোস্কির মাঠ গবেষণা সামাজিক তত্ত্ব ও অন্যান্য
জন্ম ১৯৬৭ সালে, চট্টগ্রামে। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে এমএসএস ডিগ্রি অর্জন। সঙ্গীতে স্নাতক ডিগ্রিধারী শিপ্রা সরকার ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে এমএড ডিগ্রি লাভ করেন। ২০১২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশের জাতিবর্ণ ব্যবস্থা (coste system) বিষয়ে গবেষণা করে তিনি অর্জন করেন এমফিল ডিগ্রি। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশে নারী শিক্ষা বিষয়ে পিএইচডি গবেষণা করছেন। শিপ্রা সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক পদে কর্মরত আছেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। শিপ্রা সরকার মূলত প্রাবন্ধিক গবেষক। তাঁর উল্লেখযোগ্য অন্যান্য গ্রন্থ : সাহিত্যের সমাজতত্ত্ব : প্রসঙ্গ মুকুন্দরামের ‘চণ্ডীমঙ্গল কাব্য’ (১৯৯৩), রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শনে উন্নয়নভাবনা (২০০৮), ম্যালিনোস্কির মাঠ-গবেষণা, সামাজিক তত্ত্ব ও অন্যান্য (২০০৯), বাংলাদেশের একটি গ্রাম : জাতিবর্ণ ব্যবস্থা (যন্ত্রস্থ) ইত্যাদি। গবেষণায় অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য ১৯৯৬ সালে তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি পরিচালিত ‘জাতীয় অধ্যাপক আতোয়ার হোসেন স্বর্ণপদক’ লাভ করেন।