ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা আমরা একটা সমৃদ্ধ শিশু সাহিত্যের কালে বড় হয়েছি। খবরের কাগজগুলোতে শিশুদের পাতা ছিল বেশ বর্ণাঢ্য। শিশুদের পত্রিকাও ছিল বেশ কিছু। শিশুদের মনন গড়ে তোলার জন্যে এগুলির অবদান অসীম। শাহ আলম সাজু শিশু সাহিত্যে ব্রতী হয়েছেন। বয়সে তরুণ, শৈশব ও কৈশোর স্মৃতি এখনো পুরনো হয়নি। তাই তার ভাবনায় চলে আসে আম চুরি, ভূত, যদু মাস্টারের কথা। যদু মাস্টার আজকের দিনে এক অভাবনীয় চরিত্র। ছাত্রের সাফল্যে শিক্ষক কাঁদে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রের লেখাপড়ার খোঁজখবর নেয়া এসব সুদূর অতীত নয়, কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থা এই সংস্কৃতিকে ইতিহাসে পরিণত করেছে। শিশুদের প্রাণবন্ত রাখা, মনন সৃষ্টিকরা এবং সর্বোপরি পাঠাভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। শাহ আলম সাজু সাংবাদিকতার পাশাপাশি এই গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্রতী হয়েছেন দেখে আমার এক নতুন ভালবাসার সৃষ্টি হলো। আশা করি ভবিষ্যতে তিনি শিশুদের জন্য আরো মননশীল বই লিখবেন। সূচিপত্র *ফেল্টু বাহিনী *চাপাবাজি কোচিং সেন্টার *ফেরা *পিণ্ডত স্যারের কানমলা *হিটলু মামা *জঙ্গলবাড়ির হলুদ পরী *অমিতের জয় *মেঘের দেশের মেঘপরী *পরীটি আর আসে না *চাঁদের দেশে লালপরী ও নীলপরী *পরী বন্ধু *বাঘের বাড়ি *তিথি ও চিল *মিছিল আগুন রহস্য *টিয়ে পাখির বিয়ে তিন বন্ধু * রহস্যময় সাগরদীঘি
শাহআলম সাজু সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি জাতীয় পর্যায়ে থেকে সাংবাদিকতা করছেন। সততা, পরিশ্রম আর নিজ চেষ্টা দিয়ে ইতিমধ্যে কালচারাল রিপাের্টার হিসেবে নিজের একটা অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম। হয়েছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর সাংবাদিক। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করে পেশা হিসেবে বেছে নেন সাংবাদিকতাকে। ১৯৯৬ সালে প্রথম গল্প ছাপা হয় দৈনিক সংবাদ এ। প্রথম উপন্যাস বৃষ্টিভেজা ভালােবাসা প্রকাশিত হয় ১৯৯৮ সালে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। প্রকাশিত মােট বইয়ের সংখ্যা ৩০টি। স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশের কথাসাহিত্যে নিজের একটি বড় অবস্থান গড়ার। ভ্রমণপ্রিয় এই লেখক ঘুরতে ভীষণ পছন্দ করেন। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, নেপাল ও কলকাতা ভ্রমণ করেছেন। আর পছন্দ করেন প্রিয় মানুষদের সাথে আড্ডা দিতে। শাহআলম সাজুর জন্ম টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে।