ভূমিকা মানুষ নানাভাবে নানান ঢঙে তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে। অভিব্যক্তি প্রকাশের এক সেরা সূত্র হচ্ছে কবিতা। মানুষ আদিকাল থেকে নিজের কথাকে পরিপাটি ও ত্রুটিমুক্ত করে উপস্থাপন করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। ঘরের লোকদের সাথে বা প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলার সময় অতটা সতর্ক না হলেও চলে। কিন্তু রাজদরারে কথা বলার সময় সতর্ক না হলে চলে না। তেমনি কেউ যখন সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করে তখনও লক্ষ জনতার সামনে অতি সাবধানে কথা বলতে হয়। কবিতা যখন কেউ মনে মনে পড়ে তখন সেটা সে নিজের মতো করে পড়তে পারে। কিন্তু যখন সহস্র বোদ্ধা দর্শক-শ্রোতার সামনে আবৃত্তি করার প্রয়োজন পড়ে তখন নিয়ম মেনেই আবৃত্তি করা লাগে। রাখাল মাঠে গরু ছেড়ে গান গায়, পথিক পথে যেতে যেতে গান গায়. বাথরুমে গোছল সারতে সারতেও কেউ কেউ গানে সুর তোলে। সে সুর যদি বেসুরোও হয় সেটা নিয়ে কেউ কথা বলে না। কিন্তু হাজার হাজার লোকের সামনে যখন কোন গায়ক বেসুরো সুরে গান যায়, তার কী অবস্থা হয়? বেসুরো গান কারোই পছন্দ নয়। তেমনি কবিতা আবৃত্তির ক্ষেত্রেও কতগুলো নিয়ম কানুন আছে, যারা এর চর্চা করেন তারা সদা সতর্ক থাকেন এবং দর্শকশ্রোতার সামনে কবিতা আবৃত্তির সময় সে নিয়মগুলো মেনে চলেন। বাংলা সাহিত্যের আদিরূপ কবিতা। আজ থেকে হাজার বছর আগে সরহপা ও কাহৃপা সাধারণ মানুষের সুখের ভাষায সাহিত্য চর্চা শুরু করেন, যাকে বাংলা সাহিত্যের আদি নির্দশন বলা হয়। সেটা ছিল কবিতা। যা বৌদ্ধ তান্ত্রিকদের মাধ্যমে ধর্মালয়ে গীত হতো। পরে যা দোঁহা বা চর্যাগীতি নামে পরিচিতি লাভ করে। তার ধারাবাহিকতায় আজকের বাংলা্ কবিতা অনেক সমৃদ্ধ ও পরিপক্ক । শর্তবর্ষ পূর্বে বাংলা কবিতা লেখে রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন. এটা বাঙালী ও বাংলা ভাষার জন্য কম গৌরবের বিষয় নয়। তাপর কাজী নজরুল ইসলাম, জসীমউদ্দিন, জীবনানন্দ দাশ, শামসুর রহমান ও সুনীলের হাত ধরে বাংলা কবিতা বিশ্ব আসনে সমাহীন। আমরা আবৃত্তির কবিতা সাজাতে গিয়ে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রথিতযশা অনেক কবির কবিতাকে স্থান দিতে পারিনি। প্রকাশের কিছু সীমাবদ্ধতার জন্য আমাকে একটা গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ থাকতে হল। তবু বন্ধু কাওসার যে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তার জন্য ধন্যবাদ। বন্ধু ফয়জুল আলম পাপ্পু এ সময়ের একজন সেরা আবৃত্তিকার এবং আবৃত্তির ছলাকলা সম্পর্দে সম্মক ওয়াকিবহাল। আমি সব সময় তার একজন ভক্তশ্রো। এ গ্রন্থ সাজাতে গিয়ে তার পছন্দকেই মনে হয় বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আশা করি প্রিয় আবৃত্তিকার বন্ধুদের কাছে বিষয়টা সাদরে গৃহীত হবে। কালাম ফয়েজী জি-২ দক্ষিণ বনশ্রী, ঢাকা
কালাম ফয়েজী পিতা ঃ আলহাজ্ব আরশাদ মিয়া মাতা : আলহাজ্ব বিবি আতর জান জন্ম ঃ বাংলা ১৩৭৬ সালে ২ পৌষ লালমােহন উপজেলার বালুরচর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। শিক্ষাজীবন ঃ ১৯৮৫ সালে মাধ্যমিক ও ১৯৮৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লােক প্রশাসন বিভাগ থেকে সম্মান (১৯৯১) এবং মাস্টার ডিগ্রি (১৯৯২) লাভ করেন। কর্মজীবন ও কর্মজীবনের শুরুতে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকে কিছুদিন কাজ করেন। ১৯৯৬ সালে বাংলা একাডেমীর একটি প্রকল্পে নিয়ােজিত হন। ১৯৯৯ সালে এন.আই.এল.জি.-এর জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা পদে ও ২০০৫ সালে চ্যানেল ওয়ানে যােগ দেন। বর্তমানে তিনি চ্যানেল ওয়ানে স্ক্রিপ্ট রাইটার এবং সাপ্তাহিক দ্বীপকথা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক পদে কর্মরত আছেন। সংগঠন ও তরুণ লেখক প্রকল্পে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লায়ন কালাম। ফয়েজী লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল-এর সদস্য এবং লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা ওয়েসিস-এর পরিচালক ও বাংলা একাডেমীর জীবন সদস্য। তিনি প্রজন্ম একাডেমীর সভাপতি ও বর্তমানে লাল মােহন ফাউন্ডেশন ঢাকা’র সভাপতির দায়িত্বে আছেন। প্রকাশিত গ্রন্থ ও নেতা ও কবি, পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ, ষােড়শী, বাগদত্তা, তুমি আসবে বলে, তােমার জন্য ভালােবাসা, লালআপেল, রাত্রি শেষের যাত্রী, ভালবাসি তােমাকে, অবিনাশী ছায়াপথ, রূপবতী, বরযাত্রী এবং ভােলা জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। স্থায়ী ঠিকানা ও গ্রাম ও বালুরচর উপজেলা ও লালমােহন, জেলা ও ভােলা।