"বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় কৃষি" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ দেশের স্বনামধন্য কৃষিবিদ তথা কৃষি বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রম কৃষিতে এনে দিয়েছে সমৃদ্ধি। আজ বাংলাদেশ খাদ্য শস্য উৎপাদনে স্বনির্ভরতার দ্বার প্রান্তে। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে জনসংখ্যা ছিল ৭.৫ কোটি যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ কোটিতে। একদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে আবাদি জমির পরিমাণ প্রতিদিন প্রায় ২২২ হেক্টর করে কমছে। এই ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ক্রম হ্রাসমান জমি থেকে খাদ্যের যােগান যারা দেন সেই সব কৃষক, কৃষিবিদ তথা কৃষি বিজ্ঞানীদের অবদান অনস্বীকার্য। ক্ষুধা দারিদ্র্য ও বৈরী জলবায়র সাথে আমাদের কৃষির লড়াই চিরন্তন। কৃষি কাজ পুরােপুরি প্রকৃতি নির্ভর। প্রকৃতির খেয়ালীপনার কাছে মার খাচ্ছে প্রতিনিয়ত। যথা সময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়া,ঝড়, জলােচ্ছাস, সাইক্লোন, অনাবৃষ্টির কারণে ফলন যেমন ব্যহত হয় তেমনি কৃষক প্রকৃতির সাথে লড়াই করে হয় সর্বশান্ত। অন্যদিকে দুর্বল বাজার ব্যবস্থাপনার কারণে কৃষক নিজ ক্ষেতে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে নতুন করে ফসল ফলানাের জন্য কৃষক নিরুৎসাহিত হয়। এক সময় চাহিদা মেটানাের জন্য কৃষক ফসল উৎপাদন করত। কিন্তু সময়ের চাহিদা ও বাড়তি উপার্জনের জন্য কৃষক বাণিজ্যিকভাবে কৃষিকাজ করার প্রয়াস পেয়েছে।