প্রকাশকের কথা এক দশকেরও বেশি সময় বিরতিরপর আমার তৃতীয় উপন্যাস ‘তুমি আছো হৃদয়ের গভীরে’ লেখা হয়। আমর ধারণা, পাঠকগণ কাশ্মীরের কান্না’র পর আমার কাছে আরও ভালো না হোক, অন্তত সে মানের লেখা আশা করেন। সে কারণেই উপন্যাস লেখার ক্ষেত্রে নিঃশব্দে ডুব মেরেছিলাম । ভেবেছিলাম এর মধ্যে নিজেকে ভেঙেচুরে নতুন করে উপস্থাপন করবো। নিজেকে আরো তৈরি করে এরপর কাজ শুরু করবো। বিশেষ করে উপন্যাসে যেন একটা স্বতন্ত্র মাত্রা যোগ করতে পারি। এ কারণেই উপন্যাস লেখায় আর হাত দেয়া হয়নি। এই করে করেই যাচ্ছিল দিন। এক সময় দেখি উপন্যাস লেখার সাহসই হারিয়ে যেতে বসেছে।
অনেক পাঠক, শুভার্থী ফিরে আসার জন্য আমাকে প্রচন্ডভাবে তাকাদ দিচ্ছিলেন। কিন্তু কেমন করে যেন এক বন্ধ্যাত্বের অসুখে নিরাময়ের ভূমিকায় ডাক্তার হিসেবে অবতীর্ণ হলেন সময়ের কর্মমুখর সাহিত্যকর্মী স্নেহভাজন হুমায়ূন আইয়ুব। এমন কড়া ডোজ দিলেন, অসুখ না সেরে উপায় থাকলো না। সময় বেঁধে দিয়ে বার বার তাকাদা। উপন্যাস একটা দিতেই হবে। পত্রিকার কাজ শেষ ; তাড়াতাড়ি করুন না ভাই ! উপায় না দেখে বসে গেলাম। আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহর ইচ্ছায় মাত্র দু’সপ্তাহে তাকে একখানা পাণ্ডুলিপি তৈরি করে দিতে সমর্থ হলাম। এবার পাঠক ও প্রকাশকদের তাকিদ। কবে এটাকে বই হিসেবে দিচ্ছি। বললাম, বইয়ের জন্য আমাকে একটু সময় বের করে কিছু সংযোজন করতে হবে। চলতে থাকে তাকাদা। অবশেষে সেটুকুও সম্পন্ন করলাম।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৩ উপলক্ষে প্রকাশক এটিকে বাজারে নিয়ে এসেছে। স্বল্পতম সময়ের মধ্যেও চেষ্টা করেছি নির্ভুল করতে। তারপরও ভুল থাকতে পারে। যে কেউ নির্দ্বিদায় আমাকে ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে পারেন। কৃতজ্ঞতাসহ পরবর্তী সংস্করণে তা শুধরে নেয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
আমার কেন জানি মনে হয়, লেখালেখিতে যিনি যতটা সফল, পরিবার নামক সংগঠনে তিনি ততটাই বিফল। অফিসের ডিউটির বাইরে জেগে বইটি লিখতে গিয়ে অনেকের হক হয়তো নষ্ট করেছি। স্ত্রী-সন্তানকে বঞ্চিত করেছি তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে। আশা করি, বইটি দেখে তারাও সে কষ্ট ভুলে যেতে পারবে। সুন্দর প্রচ্ছদেরজন্য নাজমুল হায়দারকে ধন্যবাদ। এছাড়াও বইটি প্রকাশে যাদের শ্রম ঘাম ও আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আল্লাহ তায়ালা সকলকে উত্তম প্রতিদান দিন। সকলের কাছে দোয়ার আবেদন। বিনীত সমর ইসলাম নিউজরুম এডিটর একুশে টেলিভিশন