ফ্ল্যাপে লিখা কথা তেরোটি ছোটগল্পের সমাহার। এর মধ্যে কয়েকটি প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায়। তবে এগুলোকে গল্প না বলে বরং জীবনালেখ্য বলাই অধিকতর যুক্তিসঙ্গত। এর কোনোটিতে রয়েছে সুখস্মৃতি বা আনন্দময়তার পরশ, কোনোটিতে রয়েছে হৃদয়বিদারক ঘটনার অবতারণা। কোনোটি রম্য রচনা আবার কোনোটিতে সমাজের সুবিধাভোগী শ্রেণীর প্রতি রুদ্ররূপ মূর্তির বহিঃপ্রকাশ। সবগুলো গল্পের বিষয়বস্তু ফুটে উঠেছে বিশেষ স্বকীয়তা ও গভীরতা নিয়ে। উপরন্তু, বইয়ের নাম ভূমিকায় থাকা গল্পটির আবেগ, ছন্দ আর প্রকাশ ভঙ্গিমা এক কথায় অনন্য। এখানে রয়েছে বাংলার অবহেলিত নারীদের সাধারণ গল্প; অসাধারণভাবে।
‘আমি এ বিয়ের হতভাগী কনে’ অথবা ‘হাত-পা বাঁধা হয়ে অথৈ সাগরে ডুবতে ডুবতে আর কত ভরসা করা যায় তোমাদের উপর!’ কিংবা ‘ভালোবাসা শব্দ শুনলে আমার নাকে মোহিনী আতরের গন্ধ লাগে না।’ এমন সব হৃদয়স্পর্শী কথায় পরিপূর্ণ বিরাগিণী বধূয়া’র গল্প। এক অর্থে এগুলো যেন গল্প নয়, যেন একেকটি উপন্যাস। গ্রন্থ আকারে প্রকাশের পূর্বেই গল্পগুলো বিভিন্ন মহলে আলোচিত ও প্রশংসিত হয়েছে। তাই আমাদের বিশ্বাস এর প্রতিটি গল্পই পাঠক মনে রাখবেন অনেক অনেক দিন। -প্রকাশক
মুহাম্মদ ইসতিয়াক হাসান এর জন্ম ১৯৭৭ সালে। বাবা মুহাম্মদ ইসহাক মিঞা’র বদলীর চাকুরীর কারণে দেশের বিভিন্ন শহর ও অঞ্চলের পরিবেশ এবং প্রকৃতির মাঝে তিনি বেড়ে উঠেছেন। তাঁর মননশীলতায় সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের ইতিবাচক ছাপ বিদ্যমান। তাঁর পৈত্রিক বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। ২০০৩ সালে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে মাস্টার্স করার পরে ‘আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’ থেকে এমবিএ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তিনি ২০০৮ সালে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি'তে যোগদান করেন এবং বর্তমানে একজন নির্বাহী হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি একই ব্যাংকের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের খণ্ডকালীন প্রশিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। মুহাম্মদ ইসতিয়াক হাসানের লেখালেখির শুরু হয় দৈনিক পত্রিকায় ছোটগল্প লেখার মাধ্যমে এবং তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘নাচঘরের চাতালে’।পরবর্তীতে তাঁর রচিত আরও ২টি উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলো হলো- গৌণগাথা এবং বিরাগিনী বধূয়া। তাঁর লিখিত ও প্রকাশিত সর্বশেষ গ্রন্থ- এসো আরব্য যুদ্ধের গল্প শোনাই।