ফ্ল্যাপে লিখা কথা খনার বচনগুলো চমৎকার কবিতা তা আর প্রমাণ করার অপেক্ষা রাখে না। খনার বচনগুরো নান্দনিক ছন্দ, ললিত কলা ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অদ্ধজ্ঞানে ভরপুর। বাংলার হতদরিদ্র মানুষের কাছে সহজলভ্য কার্যকরী শ্রুতিমধুর এবং বহুদাভাবে পরীক্ষিত সর্বজনে গৃহীত , বিজ্ঞানধর্মী চির সত্যবাণী। খনার বচল আবহমানকাল ধরে এদশের মানষকে আবেগের সাথে জড়িয়ে রয়েছে। খনা জন্ম জন্মান্তরে বাঙালিকে তাপিত করেছে, এবং সুখ-দুঃখতাপে সাহস ও মন্ত্রণা জুগিয়েছে।তাই খনার কোনো কাল নেই। সর্বকালেই খনা জীবন্ত এমনি একজন শ্রদ্ধেয় বড়দিদি যার অভিজ্ঞতার ভান্ডার অফুরন্ত, কার্যকরী এবং সহজবোধ্য।
কোন জমিতে কতটুকু কীভাবে চাষ দিতে হবে কোন সময় কি সার দিতে হবে কতটুকু সেচ দিতে হবে এ যেনো খনাকে কেউ হাতে ধরে শিখিয়েছিল এবং সে শিক্ষাই তিনি লিখিত এবং প্রবাদ প্রবচন বা রচনা আকারে রেখে গেছেন বাংলার কৃষিজীবি মানুষের জন্য। তার জন্ম এবং মৃত্যু সবকিছু প্রশ্নবাণে জর্জরিত হলেও তার সৃষ্টিকর্ম নিয়ে কোনো বিরোধ নেই এবং বৈজ্ঞানিকভাবে সে সবের সত্যাসত্য নিগুড়ভাবে পরীক্ষিত। অনেকেই খনাকে আমরাও সমান আগ্রহ এবং ভালোলাগা থেকে খনা বিষয়ে উৎসাহিত হয়ে নিজেদের এবং বিভিন্নভাবে সংগ্রহ করা খনার প্রচলিত বচনগুলোকে আরো বিস্তারিত ভাবে পরিচিত করানোর উদ্দেশ্যে ব্রুতী হয়েছি। খনাকে জানুন, খনাকে চিনুন, তার প্রবাদগুলো নতুন করে পড়ুন। খনার মতো স্বপ্রতিভা স্বশিক্ষিত নারীকূলের শিরোমণি আমূল বাস্তব ভাব-দর্শনের কবি শত শহস্র অব্দে দু এক জন আসে কি না সন্দেহ।
খনা একজন অনেক বড় মাপের ব্যক্তিত্ব ছিলেন। শুধু শক্তিশালী প্রবাদ আর কার্যকরি মনোবিক্ষণ ছাদা এবং কাহিনীর জন্য তিনি মরেও অমর হয়ে আছেন। আরো কয়েক শতাব্দী তিনি অমোচনীয় হয়ে থাকবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
Title
কিংবদন্তির খনা উক্তি-প্রবাদে বাংলার কৃষ্টি ও জীবন দর্শন