ফ্ল্যাপে লিখা কথা সম্পূর্ণ পানির উপর ভেসে আছে একটি অচেনা গ্রহ। মহাকাশ বিজ্ঞানী মাধবী এবং রুশনী সেই গ্রহটিতেই অবতরণ করার সিদ্ধান্ত নিল। বিভিষিকাময় অন্ধকার গুহার মদ্যে কেপলার মহাকাশ খেয়াতরী ঢুকে গেল। চালকের আসনে পৃথিবীর এক মহাকাশ বিজ্ঞানী বসে আছে, তার নাম রুশনী। মূল মহাকাশ খেয়াযান ডি এম এস ওয়ানের সংগে সব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেল কেপলারের। ডি এম এস ওয়ানে ভয়ঙ্কর অদৃশ্য শিকারী বা ক্রেডিয়েটরদের দ্বারা আক্রান্ত বা অদৃশ্য শিকারী প্রাণীগুলো। সারি সারি পাহাড় পর্বত আর বৃক্ষরাজির ফাঁকে ফাঁকে বয়ে চলেছে অসংখ্য নদ-নদী। এই নাম না জানা গ্রটিতে হিংস্র বন্যপ্রাণীর দেখাও পেল রুশনী।সামনেই বিশাল সমুদ্র উথাল-পাতাল ঢেউ ভেঙ্গে বয়ে চলেছে কোন অজানায়। কেপলার হতে নেমে উপকূলে হেঁটে বেড়াচ্ছেন রুশনী। রোমহর্ষক একটা শব্দে চমকে যায় সে। বিশাল্ কে দৈত্যকার জলজ প্রাণী উঠে আসে সপাহরের জলে এবং রুশনীকে মুহূর্তের মধ্যে গিলে ফেলে সে। ডি এম এস ওয়ান থেকে খেয়াতরী কেপলার নিয়ে মাধবীও এসে প্রবেশ করে পানিতে ভেসে থাকা গ্রহটিতে। নয়াভিরাম গ্রহটির সৌন্দর্যে মুগ্ধ মাধবী হঠাৎ আক্রান্ত হলো ভয়াবহ এক মহাকাশ ঝড়ের তান্ডবে। তার কেপলারটি পতিত হয় সাগর তলে। আটকে গেল কেপলার সেই ভয়াল সাগরের নিচে। দল বেঁধে এল বিশালকৃতির ভয়ঙ্কর কিউকিলা। আক্রমণ করলো একযোগে আক্রমণ করে ভেঙ্গে ফেলে কেপলারের দরজা । দিগন্ত জোড়া নস্টিল মরুভূমিতে এসে ছিঁটকে পড়ল রুদ্র রহমান। সৃষ্টি হলো এক দুরন্ত গতির ধূলি ঝড়ের। সেই ঘূর্ণাবর্তেই আবির্ভূত হলো এক বিশাল মাটির মূর্তি। তার নির্দেশেই রুদ্র আক্রান্ত হলো অসংখ্য বিদঘুটে প্রাণী দ্বারা। ওরা হা করে আসছে রুদ্রকে খেয়ে ফেলার জন্য। ভয়াল সাগর থেকে রুশনী উঠে এলো উপকূলে। বিশাল পর্বত ডিঙ্গিয়ে নেমে এল ঘন জঙ্গলে ঘেরা এক মায়াপুরীতে। তারপরই পেয়ে গেলে একটা রহস্যপূর্ণ মেসেজ। দেখা হলো রুদ্রের সঙ্গে। ছুটে আসছে মরুভূমির বুক চিরে একটা রহস্যময় গাড়ী। আত্না শিকারী বা সোল হান্টারদের হাতে ধরা পড়ল রুশনী। সোল হান্টারের সম্রাট মি. রেভেনের খাস মহলে পৌঁছে গেল সে। সমস্ত শরীরে ইলেকট্রিক সু*ই বিদ্ধ করে ল্যাবে এক্সপেরিমেন্ট করা হচ্ছে রুশনীকে।
সাগর তলে মাধবী পেয়ে গেল এক বিস্ময়কর গুহা মুখের সন্ধান। বেরিয়ে এলো সে এক স্বপ্ন নগরীতে। তারপর সেও পেল সেই রহস্যময় মেসেজটি। মাধবীর স্কাই ড্রাইবার ছুটে চলেছে আত্না শিকারী বা সোল হান্টারের সম্রাট মি. রেভেনের রাজপ্রাসাদ বা মৃত্যুপুরীর দিকে। নিঃসিম অন্ধকারাচ্ছন্ন সেই রাজ প্রাসাদ বা মৃত্যুপুরী থেকে বেরিয়ে আসছে ভয়ার্ত নারীর বিভৎস চিৎকার থেকে থেকে। তবু মাধবী প্রবেশ করল সেই ডার্ক হাউজ বা অন্ধকারাচ্ছন্ন মৃত্যুপুরীতে।