টেলিভিশন সাংবাদিকতা পরিণত হয়েছে মোহনীয় বা মায়াময় (গ্ল্যামার) পেশায়। ফলে অনেক মানুষ এই জগতে আকৃষ্ট হচ্ছে এবং পেশাটি হয়ে উঠছে তুলনামূলক বেশি প্রতিযোগিতাপূর্ণ। শুধু একাডেমিক জ্ঞান ও দক্ষতাসম্পন্ন মানুষ সফলভাবে এক্ষেত্রে কাজ করতে পারছে। পাশাপাশি কঠোর শ্রমের বিনিময়ে অর্জিত অভিজ্ঞতাও এই পেশায় কাজে লাগছে। এই দক্ষতা ও জ্ঞান অবশ্যই মনোস্তাত্ত্বিকভাবে শিক্ষণের বিষয়। টেলিভিশন অনুষ্ঠান তৈরির একটি পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়া হচ্ছে টেলিভিশন সাংবাদিকতা। এই সাংবাদিকতার সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য কিছু উপাদান বা উপকরণের সংগ্রহ যা একসঙ্গে কাজ করে। কাজভেদে এই উপকরণগুলো একটি অন্যটির ওপর নির্ভরশীল। একক কোনো উপকরণ দিয়ে এই পেশায় কাজ করা যায় না। টেলিভিশন ব্যবস্থা যন্ত্রপাতি ও মানুষ যারা নির্দিষ্ট প্রোগ্রামের জন্য পরিচালিত হয়। প্রতিবেদন লিখন থেকে শুরু করে, প্রযোজনা, সম্পাদনা, ক্যামেরা চিত্র, চলমান চিত্র, এনিমেশন, রঙ, শব্দ, শব্দ-মিশ্রণশৈলী, উপস্থাপনশৈলী সব মিলিয়ে টেলিভিশন সাংবাদিকতা। টেলিভিশন সাংবাদিকতা প্রক্রিয়ার এই যাবতীয় টেকনিক ও টেকনোলজি নিয়ে রচিত বর্তমান গ্রন্থ।
লেখক পরিচিতি ড. মুসতাক আহমেদ দশ বছরের অধিক কাল থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে শিক্ষকতা করছেন। উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র জেলা জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থানার বিহারপুর গ্রামের আজিম উদ্দিন আহমেদ ও আকতার হাসনা হেনা আহমেদ ছোট ছেলে। জন্ম ১৯৭৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর। বাবা আক্কেলপুর এফ. ইউ. পাইলট স্কুলের ‘আজিম স্যার’ পরিচিত মানুষটির হাত ধরে স্কুলে যাওয়া, বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, তারপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিসরে। ছাত্রাবস্থায় বিজয়ের আলো নামে একটি ছোটকাগজ সম্পাদনা করেছেন। গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের অধিকার ও নীতি সংক্রান্ত কাভারেজের ওপর পি-এইচ. ডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। শিক্ষকতা জীবনে দেশ-বিদেশর বিভিন্ন জার্নালে প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন কুড়িটির বেশি। মিডিয়া বিষয়ক বেশ কিছু গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন। এগুলোর মধ্যে গণমাধ্যম-নৈতিকতা-আইন-জবাবদিহিতা, গণমাধ্যমের রাজনৈতিক অর্থনীতি: নয়া তথ্যযুগে পুঁজিবাদ আর গণতন্ত্র, কর্পোরেট মিডিয়ার সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ: আধিপত্যের লোকপরিসর মিডিয়াকোষ, এবং মিডিয়া ও ডিসকোর্স বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। টেলিভিশন সাংবাদিকতা তার বর্তমান আগ্রহের ক্ষেত্র।