"কমপ্লিট ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট - ১ম খণ্ড (সিডিসহ)"বইটির সম্পর্কে লেখকের কিছু কথা: লেখকের কথা গােড়াতেই বলে নিই, প্রথমত এই বইটির জন্য সমস্ত কৃতিত্বের দাবিদার হচ্ছে- আমার বইয়ের পাঠকরা এবং দ্বিতীয়ত হচ্ছেন- জ্ঞানকোষের শাহীদ ভাই, তিনি দাবির পাশাপাশি আমাকে উৎসাহ জোগাচ্ছিলেন। অবশেষে বইটি এলাে পাঠকদের মাঝে। আউটসাের্সিং এর মাধ্যমে ইন্টারনেটে দ্বারা অর্থ উপার্জন এখন আর অমুলক কোন ব্যাপার নহে। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন ১কোটি টাকা অর্থ উপার্জন করে থাকে, আউটসাের্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে। অন্তত ৫০০টি সহজ উপায়ে আউটসাের্সিং করা সম্ভব। মনে করুন, আপনি কম্পিউটারে শুধুমাত্র মাউস ক্লিক করতে পারেন। ব্যাস আপনার জন্য কাজ রয়েছে। মনে করুন, শুধুমাত্র টাইপ করতে পারেন- বাপরে বাপ-আপনার জন্য রয়েছে ডাটা এন্টির কাজ। গ্রাফিক্স জানলে আরও ভাল, যদি ভালভাবে প্রােফেশনাল লেভেলের ওয়েব পেজ ডিজাইন করতে জানেন - তবে আপনার জন্য রয়েছে আরও সম্ভবনা। এছাড়াও ভিডিও এডিটিং, ফটোগ্রাফি, SEO ইত্যাদি অসংখ্য উপাই রয়েছে আউটসাের্সিং এর জন্য। ভবিষ্যতে যারা আন্তর্জাতিক মানের ওয়েব পেজ ডেভেলপ করতে চান বা ওয়েব অ্যাপিকেশন বানাতে চান তাদের একটি শক্ত ভিতের কথা মাথায় রেখে লেখা হয়েছে এই বইটি। মােট ৩টি পার্টের মধ্যে এটি হচ্ছে প্রথম পার্ট। বাকি ২পার্ট আশারাখি খুব শীঘ্রই আপনাদের হাতে দিতে পারবাে। এই বইয়ের Content হচ্ছে HTML5, CSS3, JavaScript, PhP5 ও MySql এবং যথারিতি সাথে রয়েছে Professional Project. আশাকরি সবাই উপকৃত হবেন। আর বরাবরের মতাে এবারেও বলবাে, আমি অতিরিক্ত আলােচনার বদলে ব্যবহারিক প্রয়ােগে বিশ্বাসী। সেই উদ্দেশ্যেই বইটি প্রােজেক্ট নির্ভর করে লেখা হয়েছে। মেনু এবং টুলবারের উপর গতানুগতিক আলােচনা বর্জন করেছি। অনেকটা প্রােজেক্ট করতে করতে সমস্ত মেনু এবং টুলবার শিখে ফেলার মত ব্যাপার। Teach yourself বা নিজে শিখুন- এ প্রক্রিয়া রপ্ত করার কৌশল আলােচনা করেছি বইটিতে। যাদের Internet Browsing বা E-mail সম্বন্ধে অহেতুক ভয় রয়েছে, একবার বইটিকে অনুসরণ করে দেখুন, এ ব্যাপারে কোন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণের আদৌ প্রয়ােজন আছে কি? এই বইয়ের পাঠক হিসেবে, আপনিই হচ্ছেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমালােচক বা মন্তব্যকারী। আর আপনাদের মন্তব্য আমার কাছে মূল্যবান, কারণ আপনিই বলতে পারবেন আপনার উপযােগী করে বইটি লেখা হলাে কিনা অর্থাৎ বইটি কিভাবে পাবলিস হলে আরও ভাল হতাে। সামগ্রিক ব্যাপারে আপনাদের যে কোন পরামর্শ আমাকে উৎসাহিত করবে।
অভিনেতা হিসেবে সুখ্যাতি কুড়ানো বাপ্পি আশরাফ কর্মজীবনে শুধু অভিনয়ই করে যাননি, সুনাম কুড়িয়েছেন লেখালেখির মাধ্যমেও। টেলিভিশন মিডিয়ার কল্যাণে আমরা প্রায় সবাই-ই চিনি এই অভিনয়শিল্পীকে, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন নাটক, টিভি সিরিয়াল, টেলিফিল্ম ও সিনেমায় তার সরব উপস্থিতি ও মানসম্পন্ন অভিনয়ের জন্য। বিশেষ করে 'কমন জেন্ডার' ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর 'থার্ড পারসন সিংগুলার নাম্বার' এই দুটি চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। গুণী এই অভিনেতা ও লেখক জন্মগ্রহণ করেছেন কুষ্টিয়া জেলার মিলপাড়ায়, যার ফলে তার শৈশব কেটেছে গড়াই নদীর সুন্দর চর এলাকায়। তবে বাবার সরকারি চাকরির কারণে বেশি দিন এক জায়গায় থাকা হয়নি তার। বাবার সাথে ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। আর তিনি শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করেছেন ঝিনাইদহের গভর্নমেন্ট বয়েজ হাই স্কুল ও কে. সি. কলেজে। স্কুল ও কলেজ পাশ করার পর তিনি ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং সেখান থেকেই স্নাতক সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি আবদুল্লাহ আল মামুন থিয়েটার স্কুলের একাদশ ব্যাচের ছাত্র, যেখানে তিনি নিয়েছেন অভিনয়ের পাঠ। কম্পিউটারের বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন এবং বর্তমানে তিনি 'নোভা কম্পিউটার' এর স্বত্বাধিকারী। এরই ধারাবাহিকতায় বাপ্পি আশরাফ এর বই সমূহ এর প্রায় সবগুলোই কম্পিউটার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রচিত। গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ফটোশপ ইত্যাদি বিষয়ে তিনি দক্ষতা রাখেন এবং এসকল বিষয়ে অন্যদের সম্যক ধারণা দিতেই তিনি তার বইগুলো রচনা করেছেন। বাপ্পি আশরাফ এর বই সমগ্র এর মধ্যে 'মাস্টারিং এক্সেল এক্সপি-২০০৩', 'কমপ্লিট এডোবি ফটোশপ', 'ওয়েব পেজ ডিজাইন (HTML) কম্পিউটারে হাতেখড়ি', 'এডোবি প্রিমিয়ার প্রো সিএস ৬', 'মাস্টারিং ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট', 'উইন্ডোজ ৮ এন্ড ৭', 'কোয়ার্ক এক্সপ্রেস-৭' ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। অভিনয় ও কম্পিউটার নিয়ে লেখালেখি করেই বেশ কেটে যাচ্ছে বাপ্পি আশরাফের কর্মজীবন।