এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, বিলাতের মাটিতে ভারতবর্ষের বিভিন্ন অভাব- অভিযোগ উত্থাপন ও দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য প্রথম রাজনৈতিক কার্যক্রম চালু করেন আধুনিক ভারতের জনক রাজা রামমোহন রায়। ১৮৩১ সালের ৮ এপ্রিল মোগল বাদশা দ্বিতীয় শাহ আকবরের ব্যক্তিগত প্রতিনিধি হিসেবে তিনি বিলাতে আসেন। তার আগমন ডিপ্লোম্যাটিক মিশনের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই জন্য যে, তিনি ব্রিটিশ সরকারের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে সম্রাট দ্বিতীয় আকবরের পাওনা বাড়ানোর বিষয়ে তদবির করার সাথে সাথে ভারতীয় রাজনীতির দিকে ব্রিটিশ সরকার, পার্লামেন্ট ও জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে বিলাতের মাটিতে ভারতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সূচনা করেন। তার বিলাত আগমনের আরো দুটি উদ্দেশ্য ছিল: প্রথমত, সতীদাহ নিবারণ আইনের প্রতিবাদে ইংল্যান্ডের প্রিভি কাউন্সিলে রক্ষণশীল হিন্দু সমাজের পক্ষ থেকে যে আপিল করা হয়েছিল, রামমোহন তার বিরোধিতা করে ইংল্যান্ডবাসীর সহানুভূতির জন্য সতীদাহ আইন সম্পর্কে কতগুলো সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরে তা মুদ্রিত আকারে প্রকাশ করেন। তিনি হিন্দুশাস্ত্র থেকে প্রমাণ দিয়ে দেখান যে, সতীদাহ প্রকৃতপক্ষে শাস্ত্রানুমোদিত ছিল না।