১৮৭০ সালের মধ্যেই ইউরোপীয় নাটকে বাস্তববাদী ধারার ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা অগ্রগতি হয়ে গেছে। বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং নাটক লেখা হয়ে গেছে। একটা মোটামুটি শক্ত ভিত্তিও পেয়ে গিয়েছিল বাস্তববাদী নাটকের ধারা। অনেকে মিলে এই কাজটা করেছেন-কিন্তু বিশেষ এমন একজন তখনো আসেন নি যিনি এই নতুন ধারার প্রতিভূ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারেন। নাটকের ক্ষেত্রে যখন সেই মানুষটির অপেক্ষা চলছে ঠিক তখনই হেনরিক ইবসেনের আবির্ভাব। হেনরিক ইবসেনই বহু- প্রতীক্ষিত সেই মানুষ। ইবসেনের জন্ম ২০ মার্চ ১৮২৮ খৃস্টাব্দে নরওয়ের শিয়েন শহরে। পিয়ার গিন্ট লেখার আগ পর্যন্ত জীবনের চল্লিশটি বছর প্রায় পুরোটাই তাঁর দুর্দিন। জীবন সংগ্রাম, সাহিত্যজীবনে একের পর এক ব্যর্থতা, আর্থিক অনটন-এসবের মধ্যেই কেটেছে তাঁর সময়। জন্ম নিয়েছিলেন অর্থবিত্তশালী পরিবারেই। ইবসেন যখন চার বছরের তখন তাঁদের পুরো পরিবারটা বাড়ি বদল করে একটা বড় বাড়িতে চলে আসে। এখানে চলতে থাকে অত্যন্ত বেহিসেবি জীবনযাপন। এভাবে বেশি দিন চালানো সম্ভব হয় নি। ইবসেন তখন এতোই ছোট যে পারিবারিক জৌলুসের সেই দিনগুলো পরবর্তী সময়ে তিনি আর মনেও করতে পারতেন না। তাঁর ছয় বছর বয়সে পিতা নুড ইবসেন দেউলিয়া হয়ে পড়েন, সুতরাং শিয়েন শহর ছেড়ে গ্রামের দিকে খামার বাড়িতে তাঁদের চলে যেতে হয়।
হেনরিক যোহান ইবসেন (জন্ম মার্চ ২০, ১৮২৮ – মে ২৩, ১৯০৬) একজন স্বনামধন্য নরওয়েজীয় নাট্যকার যিনি আধুনিক বাস্তবতাবাদী নাটকের সূত্রপাত করেছেন। ... ইবসেন নরওয়ের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ লেখক এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাট্যকার হিসেবে আসীন।