"স্বপ্ন বিক্রেতাদের গল্প" বইয়ের ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া চারপাশে শােনা যাচ্ছে উপন্যাস পড়ে গেছে তথ্য মাধ্যমগুলাের সঙ্গে দ্বৈরথ্যের মুখে, কিংবা ‘নভেল ইজ ডেড’ । কেননা বেতার, দূরদর্শন, চলচ্চিত্র আর সাংবাদিকতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সে আর পেরে উঠছে না অথবা মিডিয়া তার রাজ্য দখল করেছে, তখনাে দেখলাম এই সংকটের মুখে কেউ কেউ আছেন যারা নিজেকে লেখক হিসেবে সস্তা করে তুলেন নি, তারা অধিক পাঠক আকৃষ্ট করতে পারবেন অথবা একটা বেস্ট সেলার হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে পাঠককে আকৃষ্ট করবেন সেরকম হালকা বিনােদনমূলক উপন্যাস তাদের পক্ষে লেখা সম্ভব হয় না । এতে সহজে অনুমান করা যায় যে, সাহিত্য কেবল ‘আনন্দদায়ক’ নয়, সাহিত্য একটি সৃষ্টি প্রক্রিয়াকেই স্বীকার করে নেয়-যার ভিতর লেখক নিজেকে গণতান্ত্রিক করে তােলেন। কোনাে কোনাে লেখক জগৎকে নতুনভাবে নির্মাণ করেন। তার চারপাশের জগৎটাকে তিনি আবিষ্কারের দায় নিয়ে নতুনভাবে জন্ম দিয়ে থাকেন। আর এর মূল কারণ হলাে চারপাশের ভঙ্গুর সমাজের ভূমিকাগুলােকে নেবার মতাে লােক বা নেতার অভাব । ফলে ত্রাণকর্তার ভূমিকায় লেখককেই অবতীর্ণ হতে হয় । এই গ্রন্থ প্রণেতা সাজাহান সাকিদার সেই দায়বােধকে বিশ্লিষ্ট করে দেখিয়েছেন । সেখানে রাজনৈতিক ও নান্দনিক উপাদানকে বিচ্ছিন্ন করার বদলে চমৎকারভাবে একত্র করেছেন। আর সাহিত্যের কাজই হলাে কল্পনার যােগাযােগ ঘটিয়ে সামাজিক মূল্যবােধ তৈরি করা।
তিনি জন্মগ্রহণ করেন বগুড়ায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকাল থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। তবে শৈশব থেকেই বেড়ে উঠেছেন সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে। পেশা কলেজে শিক্ষকতা। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস : শ্মশানযাত্রীর নরক উল্লাস ৯১৯৯৫), বত্রিশ বিঘা ধানী জমি (২০০০); গল্পগ্রন্থ : পাতালে এক বর্গ (২০০৪), উল্টোরথ (২০০৫)।