Mathematics is full of beauty and surprises, and many an author in the West has tried to convey this sense of wonder to the general reader but not a single one could be traced in Bengal who ever had attempted to do this. যত কিছুই লেখা হয়েছে তা নীরস গণিতের মরুভূমির গােলক ধাঁধা মাত্র। শুধুমাত্র কতগুলাে পাঠ্য বই। স্কুলের কোন ছাত্রকে যদি জিজ্ঞেস করা যায়, কোন বিষয়টি তােমার সবচেয়ে শক্ত লাগে?' সে এক কথায় উত্তর দেবে, অংক’ । যে কোনও সাধারণ শিক্ষিত লােককে ঐ প্রশ্ন করলে সম্ভবত হুবহু ঐ একই জবাব মিলবে। তবে এমন দু'চারজন লােকও আছেন। (উদাহরণস্বরূপ বক্ষ্যমান গ্রন্থের প্রণেতা) যাদের কাছে অংক খারাপ লাগে না, বরঞ্চ তারা উল্টো আনন্দ পান এতে। তারা অংকের সৌন্দর্যটুকু দেখতে পান এবং তা উপভােগ করেন। বিজ্ঞানের সবগুলি শাখার মধ্যে গণিতই হল সবচেয়ে পুরােনাে। মানুষ প্রয়ােজনের তাগিদেই হাজার হাজার বছর (সম্ভবতঃ দশ-বিশ-পঞ্চাশ) আগে অংকের বিভিন্ন প্রক্রিয়া আবিষ্কার করতে বাধ্য হয়েছিল। অংকশাস্ত্র ছাড়া কোন বিজ্ঞানই এগােতে পারে না। তাই গণিতকেই সব বিজ্ঞানের রাণী বলা হয়। বলা হয় গণিত হচ্ছে প্রকৃতির ভাষা। ও ছােটোবেলা থেকেই শুনে আসছি অংক’ জানার জন্য দরকার মাথা থাকার। যে-সে মাথা নয়, আলাদা ধরনের শক্তিসম্পন্ন মাথা। অনেকটা ভাগ্যের দানের মত ফলে ‘কোটিতে গুটিকয়েক’ ছাড়া আর সবাই অংকের নাম শুনলেই চমকে যায় মনে। মনে ব্যাপারটা আসলে কিন্তু তা নয়। অংক জানার জন্য আলাদা বিশেষ ধরনের মাথা লাগে না। যে কেউ-ই তা শিখতে পারেন। অংক কঠিন’ দীর্ঘকাল থেকে চলে আসা এই সাধারণ ধারণাটিকেই বদলে দিতে চাইছেন আধুনিক গণিত বিশারদগণ। তারা বলছেন অংক’ কেবলমাত্র একটি হিসাবের ব্যাপার নয়। অংক’ হচ্ছে জীব ও জড় প্রকৃতির ‘মৌলিক ভাষা। তাই সকল কিছুর শুরুতেই ‘গণিতের জ্ঞান’ অনিবার্য । গণিতের সঙ্গে কেবল মানুষের সম্পর্ক নয় প্রকৃতির প্রতিটি ঘটনা শৃঙ্খল আবর্তিত-বিবর্তিত হচ্ছে সুনির্দিষ্ট গাণিতিক বিন্যাস অনুসরণ করে। তাই যে-ভাষায় প্রকৃতিকে অধ্যয়ন করা হয় সেই সুশৃঙ্খল ভাষাই হচ্ছে গণিত। প্রকৃতিতে জীব ও জড়ের সকল নিয়ম, সকল জীবের। অস্তিত্বের মূল, এমনকি সৌন্দর্যের যে ধারণা—তাও গড়ে উঠেছে বিশেষ কতকগুলাে * মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, ঢাকা। গাণিতিক নিয়মের কারণে। যেমন ধাধার মধ্য দিয়ে বিনােদন হয়ে এসেছে অংক, লাভক্ষতির হিসাবতাে জন্মের শুরু থেকেই করছে অংকশাস্ত্র। প্রতিটি মানুষ নিজেই এক গাণিতিক জটিলতার সমষ্টি। মানুষের হাঁটা, চলা, হাত নাড়া, চোখ পিট পিট করা, কথা বলা, রাগা, ঘুমানাে, মুদ্রাদোষ সবকিছুর পিছনে রয়েছে কিছু গাণিতিক ব্যাপার। দেহবৈশিষ্ট্য, লিঙ্গভেদ এমনকি স্বভাব-চরিত্রও গাণিতিকভাবেই নির্ধারিত। এ শুধু মানুষই নয়, গাছ-পালা, জীবজন্তু, পশুপাখি সব প্রাণীরই যে আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য তার পিছনে রয়েছে গণিতের নিয়ম। পৃথিবীর আবর্তন, নিজের কক্ষপথে সূর্যের চতুর্দিকে ঘােরা, মহাবিশ্বের জীবন-পথ—সবকিছুই গণিতের নিয়মে আবদ্ধ। আপনি অংক কষতে না পারেন কিংবা অংককে এড়িয়ে ভুলে থাকতে চান, ভয় পান—কিন্তু অংক আপনাকে ছাড়বে না। দিনের ঘণ্টার হিসাব, বেতন, বাজার খরচ, অফিসের টাইম, কাজের হিসাব সব কিছুতেই যে রয়েছে গণিত—গাণিতিক নিয়ম। সােজা কথায়, গণিত আপনাকে জড়িয়ে আছে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের জন্মের শুরু থেকে ধ্বংসের শেষ দিন পর্যন্ত। পালাবেন কোথায়? কোনও জায়গা নেই গণিতবিহীন রাজ্যের। ৯ শহীদ মিনার, গাছের পাতা, পূজা-অর্চনা, গৃহসজ্জার আল্পনা, মুদ্রা সবই হচ্ছে। গাণিতিক নিয়মেই। একটি ফুলকপিকে প্রকৃতি প্রতিটি স্তবকে সুশৃঙ্খল জ্যামিতিক নিয়মে - প্রতিসাম্য ব্যবস্থাধীনে সাজিয়েছে। মৌচাকে দেখা যায় প্রতিটি কক্ষ ঠিক নির্দিষ্ট কোণে - নির্দিষ্ট আকারে আয়তনে গায়ে গায়ে সেটে থাকে। সব মিলিয়ে আজ প্রমাণ হয়ে বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছরের বিভিন্ন পরীক্ষার ফল লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বিজ্ঞান শাখায় অন্যান্য শাখার চেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অর্ধেক বা তারও কম। ডিগ্রীর (১৯৯৫) পাশ-করা ৬,৩৩০ ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে বিএসসি পাশ করে ৭০০ জন যার মধ্যে গণিত নিয়েছিল এমন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ছিল মাত্র সাতশ' জন! ১৯৯৬-তে দেখা গেল বিএসসি পাশ করেছে মাত্র ২,৯১৬ জন! চার হাজার কম! আর গণিতের ছাত্র–তা ছয়শত জন মাত্র! গণিত ছাত্রছাত্রীদের কাছে ভীতিকরভাবে অপ্রিয় হয়ে আছে—তার জন্য তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। শিক্ষকরাই এর জন্য দায়ী। ছাত্রছাত্রীদের কাছে বিজ্ঞানের ‘রাণীর সৌন্দর্য তারা তুলে ধরতে পারেননি। গণিত ছাত্রছাত্রীদের কাছে ভীতিকরভাবে অপ্রিয় হয়ে আছে—তার জন্য তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। শিক্ষকরাই এর জন্য দায়ী।
প্রখ্যাত লেখক এস. এম. জাকির হুসাইন এর বই সমগ্র ইংরেজি ভাষা থেকে শুরু করে সাহিত্য, ইতিহাস, আধ্যাত্মিকতা, ম্যানেজমেন্ট, গণিত, দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, ধর্মতত্ত্ব, সমাজবিজ্ঞান, মনস্তত্ত্বসহ নানাবিধ বিষয়ের উপর লিখিত। মাত্র ২৩ বছর বয়সে লেখালেখি শুরু করা এস. এম. জাকির হুসাইন এর বই সংখ্যা এখন ৩৬০। বিভিন্ন বিষয়ে, বিশেষ করে ইংরেজি ভাষাশিক্ষায় তার বইগুলো বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। প্রগতিশীল আধ্যাত্মিকতায় বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী লেখকদের একজন এস. এম. জাকির হুসাইন এর জন্ম ১৯৭১ সালের ৩১শে অক্টোবর, খুলনা জেলার এক ছোট্ট গ্রামে। বাবার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে শিশু বয়সেই জ্ঞানচর্চা আর লেখালেখিতে উদ্বুব্ধ হন তিনি; অনানুষ্ঠানিকভাবে লেখালেখি শুরু করেন ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকেই। পড়ালেখায় তিনি ছিলেন দুর্দান্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সে এম.বি.এ এবং এমফিল সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তার ফলিত ভাষাবিদ্যায় মাস্টার্স ডিগ্রী আছে, এম.এস.সি করেছেন কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও। এস. এম. জাকির হুসাইন এর বই সমূহ ছোট-বড় সব বয়সের মানুষের জন্য পাঠোপযোগী। কর্মজীবনে শিক্ষকতা, ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজ করলেও লেখালেখিই তার মূল আকর্ষণ। ভাষার উপর দারুণ দখল থাকায় ইংরেজি ভাষা শিক্ষা, ব্যাকরণ, শ্রবণ এবং লিখিত দক্ষতার উপর তিনি অসংখ্য বই লিখেছেন। ভাষা শিক্ষার বইয়ের পাশাপাশি ‘বাংলাভাষা পরিক্রমা’, ‘ধ্যানের শক্তি ও নবজীবন’, ‘অন্ধকারের বস্ত্রাহরণ’ (দুই খণ্ড), ‘গোপন মৃত্যু ও নবজীবন’ ( দুই খণ্ড) ইত্যাদি বইও তার বই সমূহের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয়।