ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা *অর্থযুক্ত কথা বিচিত্র ধ্বনির ব্যঞ্জনায় রস সৃষ্টি করার নামই কবিতা। সর্বকালের সবভাষার তাদের প্রিয়জনের রূপ ও গুণের বর্ণনা নির্ণয় করে গেছেন কবিতার মাধ্যমে। কবিতা দেবত্বের প্রকাশ। প্রকৃতঅর্থে আদি বাংলা সাহিত্যের গুরুটা হয়েছিল কবিতা দিয়ে। সে ধারা বজায় রেখে আজও সাহিত্যের আকাশে ধ্রুবতারা হয়েছে জ্বলছে। আলোচিত গ্রন্থটির নাম ‘কাব্যরানী।’ এই গন্থে শতাধিক কবিতা স্থান পেয়েছে। কবিতাগুলোর সৃষ্টির উৎস বা প্রেরণাময়ী কবির জীবনের কেউ একজন হবে। এই গ্রন্থের প্রথম দিকের কবিতাগুলোতে ফুল, পাখি, চাঁদ ও জোছনার সঙ্গে তুলনা করে কবি তার প্রিয়ার রূপের বর্ণনা, গুণের বন্দনা ছন্দের তালে তালে নিখুঁতভাবে উপস্থাপন করেছেন। কবিতাগুলোতে রাগ-অনুরাগ, মান-অভিমানের প্রতিচ্ছবি স্পষ্ট লক্ষ্য করা যায়। গ্রন্থের শেষদিকের কবিতাগুলোতে কবির আশা-আকাঙক্ষা ও স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে তার প্রিয়া সুখের সিঁড়িতে পা দিয়েচে, এমন ইঙ্গিতই লক্ষ্য করা রায়। সর্বোপরি কবির আবেগ, আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন, বিরহ, বিষণ্নতা প্রভৃতি অতি নান্দনিকতার সঙ্গে উপস্থাপিত হয়েছে প্রতিটি কবিতায়। এই গ্রন্থের অধিকাংশ কবিতা স্বরবৃত্ত ও মাত্রাবৃত্তে ছন্দে লেখা। অল্প কিছু কবিতা গদ্য আকারে রচিত। বইটি পড়ে পাঠকমহল আনন্দিত হলে আমাদের পরিশ্রম সার্থক বলে মনে করবো।