সূচিপত্র তৃতীয় হিজরী এই হিজরীর শুরুতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল “নাজদ” -এর যুদ্ধ। এটিকে “যূ-আমার” - এর যুদ্ধও বলা হয়। বুহরান অঞ্চলে ফুরা ‘-এর যুদ্ধ মদীনার ইয়াহূদী গোত্র বানূ কায়নুকা প্রসংগ যায়দ ইব্ন হারিছার নেতৃত্বে সেনা-অভিযান (যূ-কারদা অভিমুখে কা’ব ইব্ন আশরাফের হত্যার ঘটনা তৃতীয় হিজরীর শাওয়াল মাসে সংঘটিত উহুদ যুদ্ধ হযরত হামযা (রা)-এর শাহাদতবরণ উহুদ যুদ্ধের শেষ পর্যায় ও ফলাফল উহুদ দিবসে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর আহত হওয়া প্রসঙ্গ কাতাদা ইব্ন না’মানের চোখ পুনঃস্থাপন উহুদ যুদ্ধে উম্মে আমার প্রমুখের বীরত্ব প্রদর্শন উহুদ দিবসে রাসুলুল্লাহ (সা)-এর দু’আ সাদ ইবন রাবী’র শাহাদত ও হযরত হামযার অঙ্গচ্ছেদ হযরত হামযা ও উহুদ যুদ্ধের শহীদগণের জানায়ার নামাজ উহুদ যুদ্ধে শহীদগণের সংখ্যা আহত হওয়া সত্বেও রাসূলুল্লাহ (সা) ও সাহাবাগণের আবূ সুফিয়ানের পশ্চাদ্বাবন উহুদ যুদ্ধে মুসলমানগণ এবং কাফিরদের উচ্চারিত পংক্তিমালা অধ্যায়ঃ উহুদ যুদ্ধ সম্পর্কে শেষ কথা হিজরী চতুর্থ সন রাজী’র লোমহর্ষক ঘটনা আমর ইব্ন উমাইয়া দিমারীর (রা) অভিযান বি’র-ই-মাউনিার অভিযান বনূ নাযীরের যুদ্ধ আমর ইব্ন সু’দা আল কুরাযী - এর ঘটনা বনূ নাযীরের যুদ্ধ আমর ইব্ন সু’দা আল কুরাযী - এর ঘটনা বনূ লিহয়ান অভিমুখে অভিযান যাতুর রিকা ‘অভিযান আরো অনেক কিছু...
আল্লামা ইবনে কাছীর রহ. এর জন্ম ১৩০১ খ্রিস্টাব্দে বসরার (বর্তমান সিরিয়া) মামলুক সালতানাতে। তার পুরো নাম ইসমাঈল ইবন উমর ইবন কাসীর ইবন দূ ইবন কাসীর ইবন দিরা আল-কুরায়শী হলেও তিনি ইবনে কাছীর নামেই সমধিক পরিচিত। তিনি কুরায়েশ বংশের বনী হাসালা গোত্রের সন্তান। তার জন্মস্থান এবং জন্ম তারিখ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তার শিক্ষাজীবন এবং শৈশব নিয়েও খুব বেশি তথ্য জানা যায় না। তবে মামলুক সালতানাতেই তিনি বড় হয়েছেন, এ ব্যাপারে ইতিহাসবিদগণ নিশ্চিত। কৈশোরে তিনি ফিরিঙ্গীদের যুদ্ধ, ক্রুসেড, তাতারদের আক্রমণ, শাসকদের অন্তর্কোন্দল, বিদ্রোহ করে ক্ষুদ্র রাজ্য প্রতিষ্ঠার প্রয়াস, দুর্ভিক্ষে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণহানির মতো যাবতীয় দুর্যোগ আর দুর্দশা দেখে দেখে বড় হয়েছেন। কর্মজীবনে ইবনে কাছীর রহ. উন্মুসসা’ ওয়াত তানাকুরিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করেছেন। কুরআন, হাদিস, তাফসির, ইতিহাস, গণিত সহ জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় তিনি বিচরণ করেন। শায়খ তকী উদ্দী (রহঃ), উস্তাদ হাজরী (রহঃ), ইবনুল কালানসী (রহঃ) প্রমুখ প্রবাদত্যুল্য শিক্ষকের সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। পরবর্তীতে নিজের জ্ঞানের আলোয় তিনি আলোকিত করেছিলেন মধ্যযুগীয় মুসলিম জ্ঞানপিপাসুদের। ১৩৭৩ খ্রিস্টাব্দে দামেস্কে তার মৃত্যু হয়। আল্লামা ইব্নে কাছীর রহ. এর বই সমূহ ইসলামি দর্শন, ফিকহ শাস্ত্র, তাফসির ও ইতিহাস নির্ভর। তার রচিত ‘তাফসিরে ইবনে কাছীর’-এর জন্য তিনি বিশ্বজোড়া সমাদৃত। পবিত্র কুরআনের কাছীরগুলোর মাঝে তার এই গ্রন্থটিই সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য এবং প্রামাণ্য। ১১ খণ্ডে প্রকাশিত ‘তাফসিরে ইবনে কাছীর’, ‘কাসাসুল আম্বিয়া’, ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’, ‘কিতাবুল আহকাম’ সহ বেশ কিছু জ্ঞানগর্ভ বই রয়েছে আল্লামা ইবনে কাছীর রহ. এর বই সমগ্রতে।