“এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইংলিশ ইউজেস" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ এটি একটি বিস্ময়কর বই, যা বাংলা ভাষায় এই প্রথম! শুধু তাই নয়, আপনার মন সব সময়ে যা চেয়েছে কিন্তু পায়নি, এই বইটি হলাে তারই বাস্তবায়িত রূপ । প্রতিটি সচেতন, আধুনিক ব্যক্তির ঘরেই এই বইটি থাকা দরকার, ঠিক যেমন প্রত্যেকের ঘরে কমপক্ষে একটি করে অভিধান থাকে। এদেশের প্রকাশনা জগতে আমি কতটুকু করতে পেরেছি তা বিচার করার যােগ্যতা আমার নেই, তবে নিজের তৃপ্তিবােধ থেকে নির্দ্বিধায়, সৎ সাহসের ওপর ভর করে আজ এই কথাটি বলতে চাই যে, আমরা যা করলাম তা অন্তত বাঙালির জন্য ইতিহাস হবে। একটি জাতিকে গঠন করতে হলে কী কী দরকার? অনেক কিছুই দরকার, তবে প্রথমত দরকার সেই জাতির সুনির্দিষ্ট, এবং সুলিখিত ইতিহাস। তেমনিভাবে, একটি ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে কী কী দরকার? অনেক কিছুই দরকার, তবে সর্ব প্রথমে যা দরকার তা হলাে সেই ভাষার রত্নরাজিকে সংরক্ষণ এবং পদ্ধতিগতভাবে বিশ্লেষণ করার জন্য একটি সুলিখিত অভিধান। একই সুরে সুর মিলিয়ে আবারও প্রশ্ন করা যেতে পারে: একটি ভাষাকে সফলভাবে শেখার এবং ব্যবহার করার সুযােগ পেতে হলে কী কী দরকার? জবাব হিসেবে হয়তাে অনেকে অনেক কথা বলবেন। তবে যিনি পরিশীলিতভাবে কোনাে ভাষাকে যােগ্যতম উপায়ে ব্যবহার করতে চান, তিনি অবশ্যই বলবেন যে, সেক্ষেত্রে প্রথমে দরকার একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ (grammar) এবং একটি ব্যবহারবিধির অভিধান (Usage Dictionary) | Usage এর ওপর বাংলাভাষীগণের জন্য বাংলাদেশ এবং ভারতে আজও পর্যন্ত কোনাে বই রচিত এবং প্রকাশিত হয়েছে কি না, আমার জানা নেই। ইংরেজিভাষী দেশগুলিতে এর ওপর রচিত সুন্দর সুন্দর অভিধান রয়েছে । তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হলাে এই যে, সেই বইয়ে কেবল সেই বিষয়গুলিই স্থান পেয়েছে যেগুলির ক্ষেত্রে খােদ ইংরেজিভাষী ব্যক্তিগণেরই ভুল-ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া সেই বইগুলি মূলত রেফারেন্স বই, যা কেবল ভাষাকে বাস্তবে প্রয়ােগ করার সময়ে ব্যবহারের বিশেষ। উপযােগী। শিক্ষণের ক্ষেত্রে সেগুলির তেমন কোনাে ভূমিকা নেই। কিন্তু বাংলাভাষীগণের প্রয়ােজন সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। আমাদের জন্য শুধু রেফারেন্স হিসেবে নয়, শিক্ষণ এবং যােগ্যতা বিকাশের অবলম্বন হিসেবে একটি ব্যতিক্রমধর্মী Usage Dictionary প্রয়ােজন। আর তা যদি হয় একটি পূর্ণাঙ্গ Encyclopedia, তাহলে তাে সােনায় সােহাগা। এই বইটি একটি যুগান্তকারী Encyclopedia.
প্রখ্যাত লেখক এস. এম. জাকির হুসাইন এর বই সমগ্র ইংরেজি ভাষা থেকে শুরু করে সাহিত্য, ইতিহাস, আধ্যাত্মিকতা, ম্যানেজমেন্ট, গণিত, দর্শন, যুক্তিবিদ্যা, ধর্মতত্ত্ব, সমাজবিজ্ঞান, মনস্তত্ত্বসহ নানাবিধ বিষয়ের উপর লিখিত। মাত্র ২৩ বছর বয়সে লেখালেখি শুরু করা এস. এম. জাকির হুসাইন এর বই সংখ্যা এখন ৩৬০। বিভিন্ন বিষয়ে, বিশেষ করে ইংরেজি ভাষাশিক্ষায় তার বইগুলো বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। প্রগতিশীল আধ্যাত্মিকতায় বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী লেখকদের একজন এস. এম. জাকির হুসাইন এর জন্ম ১৯৭১ সালের ৩১শে অক্টোবর, খুলনা জেলার এক ছোট্ট গ্রামে। বাবার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে শিশু বয়সেই জ্ঞানচর্চা আর লেখালেখিতে উদ্বুব্ধ হন তিনি; অনানুষ্ঠানিকভাবে লেখালেখি শুরু করেন ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকেই। পড়ালেখায় তিনি ছিলেন দুর্দান্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সে এম.বি.এ এবং এমফিল সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তার ফলিত ভাষাবিদ্যায় মাস্টার্স ডিগ্রী আছে, এম.এস.সি করেছেন কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও। এস. এম. জাকির হুসাইন এর বই সমূহ ছোট-বড় সব বয়সের মানুষের জন্য পাঠোপযোগী। কর্মজীবনে শিক্ষকতা, ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্সি এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজ করলেও লেখালেখিই তার মূল আকর্ষণ। ভাষার উপর দারুণ দখল থাকায় ইংরেজি ভাষা শিক্ষা, ব্যাকরণ, শ্রবণ এবং লিখিত দক্ষতার উপর তিনি অসংখ্য বই লিখেছেন। ভাষা শিক্ষার বইয়ের পাশাপাশি ‘বাংলাভাষা পরিক্রমা’, ‘ধ্যানের শক্তি ও নবজীবন’, ‘অন্ধকারের বস্ত্রাহরণ’ (দুই খণ্ড), ‘গোপন মৃত্যু ও নবজীবন’ ( দুই খণ্ড) ইত্যাদি বইও তার বই সমূহের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয়।