"সমস্যা ও সম্ভাবনার বাংলাদেশ" ফ্ল্যাপে লেখা কথা: একটি দেশের ইতিহাসে ৪১টি বছর একবারে কম সময় নয়। আমাদের স্বাধীনতালাভের পর দীর্ঘ এ সময়টি পার হয়ে গেছে। আলােচ্য সময়টিতে নানা সমস্যা-জর্জরিত দেশটিতে বিভিন্ন সরকার দেশের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তারা সমস্যা সমাধানের চেষ্টাও চালিয়েছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ এখনাে তৃপ্ত হতে পারছে না। কারণ, প্রিয় দেশটি নানা সমস্যার আবর্তে এখনাে আবদ্ধই রয়ে গেছে। সমন্বয়হীনতা, আন্তরিকতা ও যথাযথ পরিকল্পনার অভাবই তার জন্য দায়ী। আমাদের রাজনীতিবিদদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার অনুপস্থিতি এর অন্যতম প্রধান কারণ। সমস্যার সমাধান বা তা জয়ের মাধ্যমেই সাফল্য অর্জন করে দেশের ইপ্সিত উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব। যেমন এক সময় দেশে বিদ্যুত সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছিল। আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে তা এখন অনেকটাই সহনীয় হয়ে গেছে। গ্যাস, পানি, শহর-নগরে যানজট ও জলাবদ্ধতা, সড়ক দুর্ঘটনা, গার্মেন্টস ও পাট শিল্পে সমস্যা, ক্রমান্বয়ে কৃষি জমি কমে যাওয়ার মারাত্মক সমস্যাসহ বিভিন্ন ধরণের সমস্যা ও তার সম্ভাব্য সমাধানের ওপর আলােকপাত করা চেষ্টা করেছি ‘সমস্যা ও সম্ভাবনার বাংলাদেশ’ বইটিতে। দেশের নদ-নদীগুলােতে পানির প্রবাহ কমে গেছে। বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের অসহযােগিতার কারণেও আমাদের পানি প্রাপ্তির সমস্যাটি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। ফারাক্কার বাঁধ এবং এখন আবার টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ করলে পানির স্বাভাবিক প্রবাহে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হবে। তাই পানির সমস্যা আমাদের জীবন-মরণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সমস্যা ও সম্ভাবনার বাংলাদেশ’ বইটিতে আমি দেশের নানা ধরনের সমস্যার কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমার বিনম্র প্রয়াস ছিল সমস্যাগুলােকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও জনসমক্ষে তুলে ধরার। যাতে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার সমস্যা সমাধানে প্রচেষ্টা চালায়।