মােহিতলালের কবিতা নিয়ে প্রথম লিখি ১৯৪৭-এ যখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম. এ. পরীক্ষা দিই। লেখাটি বেরিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বার্ষিকীতে। প্রবন্ধটি মােহিতলাল চেয়ে পাঠিয়েছিলেন এবং তার আলােচনা করে চিঠিও লিখেছিলেন। মােহিতলালের সেই চিঠি তাঁর পত্রগুচ্ছে ছাপা হয়েছিল। তিনি তখন থাকতেন বাগনানে। আমি যেবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা অনার্সে ভরতি হই ১৯৪৩-এ, সেইবারই তিনি অধ্যাপনা থেকে অবসর নেন। যে কয়দিন তাকে পেয়েছিলাম মন্ত্রমুগ্ধের মতাে তার ক্লাস করেছি। বেশি দিন ক্লাস করা সম্ভব না হলেও তাঁর মৃত্যুকাল পর্যন্ত তার সঙ্গে আমার যােগ ছিল। ছাত্রাবস্থা থেকেই তার ব্যক্তিত্বের দ্বারা আকৃষ্ট ছিলাম। কর্মজীবনে সাহিত্যের নানা দিক নিয়ে ব্যাপৃত হয়ে পড়লেও মাঝে মাঝে নানা উপলক্ষে মােহিতলালের কবিতা আলােচনা করেছি। তার পরলােকগমনের পর আমি ‘দেশ’ পত্রিকায় কবি মােহিতলাল’ নামে যে প্রবন্ধ লিখেছিলাম, সেটি আমার কাব্যবাণী’ গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। পরবর্তীকালে মােহিতলালের কাব্য নিয়ে ইতস্তত অনেকেই আলােচনা করেছেন। শতবার্ষিকীতে সাহিত্য অকাদেমিও আলােচনাসভার আয়ােজন করেছিল ; মােহিতলালের কাব্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা নিবন্ধও তৈরি হয়েছে। বােধহয় কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ছাড়া ভারতী যুগের আর কোনাে কবি এত আলােচিত হননি। আজহারউদ্দিন খান মােহিতলালের পত্রসংকলন করে বাংলা সাহিত্যের একটি মূল্যবান কৃত্য করেছেন। গ্রন্থশেষে আজহারউদ্দিন-রচিত টীকা বহু তথ্যের আকর। ওই গ্রন্থের ভূমিকাতে মােহিতলালের কাব্য ও জীবন নিয়ে তথ্যমূলক আলােচনার সূত্রপাত করেছিলাম।
Prof. Bhabatosh Datta was Born in Patna, India (February 21, 1911). He was a noted Indian economist, academic and writer. He taught at Chittagong College and later became Professor of Economics, Presidency College, Kolkata, where he later Emeritus Professor. In 1990, he was awarded the Padma Vibhushan, the second highest civilian award, by Government of India. He Died in January 11, 1997