ভূমিকা ইতিহাস জাতির দর্পণ। মেরুদণ্ড সম্পন্ন জাতি সত্ত্বাকে ভঙ্গুর করে দিতে পারে ইতিহাসের বড় নির্দয়-নিষ্ঠুর ছড়ি। মেরুদণ্ডহীন জাতিসত্ত্বাকে পুনঃস্থাপনের জন্য চাই নির্মল-নিষ্কলুষ জাতিস্বত্ত্বার ইতিহাস। মজার বিষয় এই যে, আমাদের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। পৃথিবীর সবখানেই আমরা বিজয়ী ঘোড়া দাবড়িয়েছি এক সময়। পিরেনিজের সুউচ্চ পর্বতমালা থেকে রোম সাগরের উত্তাল উর্মি মালা একসময় ধন্য হয়েছে এ জাতির বিজয়ী ঘোড়ার পা চুম্বনে। রোম-ইরানের দম্ভের সুউচ্চ কেঁপে ওঠেছে জাতির দৃঢ় ইচ্ছার সম্মুখে। আরল, জাইহুন, নিশাপুর থেকে সুবিশাল ভারতের ভূ-ভাগও বাদ যায়নি এ থেকে। হিমালয়ের আকাশচুম্বি উত্থানের মত অতি উচু আমাদের উপাখ্যান । ভারত মহাসাগরের ঢেউ ঝুঁটি আজো গেয়ে চলেছে আমাদের যশগাথা। সিন্ধু, মালাবার, নিরূন, তরাইন কালের সাক্ষী হয়ে আছে। আমাদের স্বর্ণালী ঐতিহ্য আমরা হারিয়েছি নিজের দোষেই। ভঙ্গুর সেই সত্ত্বাকে বলীয়ান করতে দরকার আজ কিছু মর্দে মুমিন সিংহ-সার্দুল পালোয়ান। দরকার কিছু মুহাম্মদ ঘুরী, আইবেক ও হাম্মদের মত দুঃসাহসিক যোদ্ধা। জাতি তাকিয়ে আছে কবে আসবে আবার সেই সুদিন? কবে আবার তরাইনের রণাঙ্গনে তালোয়ারের ঝংকার ওঠবে? যুগের পৃথ্বিরাজদের প্রমোদমহলে কারা কাঁপন ধরাবে? আছে কি এমন অমিত তেজা কোন ঘুরী কিংবা আইবেক? থাকলে তারা কৈ? কোথায়??
Nosim Hijajee শরীফ হুসাইন (ছদ্মনাম নসিম হিজাজী হিসাবে বেশি পরিচিতি, জন্ম:১৯১৪ - মৃত্যু: ২ মার্চ ১৯৯৬) হলেন একজন পাকিস্তানি উপন্যাসিক ও লেখক, যিনি লেখালেখির সময় নসিম হিজাজি ছদ্মনাম ব্যবহার করেন। বাল্য ও কৈশোর কাল গ্রামে কাটলেও তার সোনালী যৌবনটুকু দখল করে আছে ঐতিহাসিক লাহোর শহর। এখানেই তিনি লেখাপড়া করেন এবং লাহোর ইসলামীয়া কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে ডিগ্রী পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি একজন উর্দু ভাষার লেখক। হিজাজী পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ধারওয়াল শহরের পাশের একটি গ্রাম সুজানপুরে জন্মগ্রহণ করেন। পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পূর্বেই ১৯৪৭ সালে তার পরিবার লাহোরে বসবাস শুরু করে। তিনি তার জীবনের অধিকাংশ সময় পাকিস্তানে কাটিয়েছেন এবং ১৯৯৬ সালের ২ মার্চ তারিখে ইন্তেকাল করেন।