ইতিহাসের এক কিংবদন্তী তিনি--- এক দিগ্বিজয়ী বীর, যার তলোয়ার কখনো ঝংকৃত হয়েছে তুর্কিস্তানে, আবার কখনো ঝলসে উঠেছে হিন্দুস্তানের মাটিতে। যার ঘোড়া কখনো জাইহুন, আবার কখনো গঙ্গার পানি পান করেছে। তিনি--- জীবন চলার গৌরবোজ্জ্বল পথে ঐ সব মুসাফিরদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, যাদের কাফেলা এক স্থানে স্থায়ী ন হয়ে দুশমনের সকল বধার বিন্ধ্যাচল ডিঙ্গিয়ে এগিয়ে যেত দূরে-বহুদূরে। তিনি--- এমন এক ব্যক্তিত্ব, যার ডায়রীতে বিশ্রাম শব্দটি স্থান পায়নি কোন কালে, দেশ জয়ের দুরন্ত নেশায় কেবল ঘোড়া ছুটিয়েছেন দেশ-দেশান্তরে। পাহাড়, সাগর, অরণ্য মাঠ তাঁর চলার পথে কোনদিন অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। নাম তাঁর সুলতান মাহমুদ গজনবী। চূড়ান্ত লড়াই--- সেই কালজয়ী ব্যক্তিত্বের কাহিনী, গজনী জলপ্রপাত থেকে জন্ম নেয়া সংহার মূর্তি ধারণকারী শক্তি স্রোত; সমুদ্র বক্ষের মাঝে ফুঁসে ওঠা তর্জন-গর্জন যার সামনে এসে শান্ত হয়ে যেত। যার পাহাড়সম বিশাল ব্যক্তিত্ব চলার পথের তামাম উপল খন্ডকে ভাসিয়ে নিয়ে যেত। আসুন! ইতিহাসের কিংবদন্তী সেই মহান দিগ্বিজয়ী বীরের সাথে পরিচিত হই। ঐতিহাসিক উপন্যাসের পাতায় সেই মহান ব্যক্তিত্বের বিশালতা অনুধাবন করি।
Nosim Hijajee শরীফ হুসাইন (ছদ্মনাম নসিম হিজাজী হিসাবে বেশি পরিচিতি, জন্ম:১৯১৪ - মৃত্যু: ২ মার্চ ১৯৯৬) হলেন একজন পাকিস্তানি উপন্যাসিক ও লেখক, যিনি লেখালেখির সময় নসিম হিজাজি ছদ্মনাম ব্যবহার করেন। বাল্য ও কৈশোর কাল গ্রামে কাটলেও তার সোনালী যৌবনটুকু দখল করে আছে ঐতিহাসিক লাহোর শহর। এখানেই তিনি লেখাপড়া করেন এবং লাহোর ইসলামীয়া কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে ডিগ্রী পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি একজন উর্দু ভাষার লেখক। হিজাজী পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার ধারওয়াল শহরের পাশের একটি গ্রাম সুজানপুরে জন্মগ্রহণ করেন। পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পূর্বেই ১৯৪৭ সালে তার পরিবার লাহোরে বসবাস শুরু করে। তিনি তার জীবনের অধিকাংশ সময় পাকিস্তানে কাটিয়েছেন এবং ১৯৯৬ সালের ২ মার্চ তারিখে ইন্তেকাল করেন।