সূচিপত্র মুখবন্ধ কবি ও তাঁর কবিতা প্রসঙ্গে কবিগুরুর আশীর্বাণী সাঁঝের মায়া সাঁঝের মায়া ঝড়ের আগে ঝড়ের শেষে পৃথিবীর পথ তাহারেই পড়ে মনে এ নিশি অনন্ত হোক বঁধু তুমি আমি আমি মারা কাজল অনাগত সুন্দরী বসুধা সে কি কভু জানে? স্মৃতির সৌরভ নিশিগন্ধার কথা নীড় ভ্রষ্ট কসন্তলিপি মায়া কাজল মন ও জীবন একদা সিন্ধু ও দিগন্ত সন্ধ্যা প্রিয় বিরহের নিশি দিগন্ত নব বরষার ঘন মেঘ আনে কি বারতা পঁচিশে বৈশাখ উদাত্ত পৃথিবী তোমার সে প্রেম অনিমিষ বৈশাখী নিশীখ রূপসী বাংলা মধুগন্ধ আলোর দুহিতা বিষের বাঁশীর কবিকে আমার দেশ দীওয়ান ভয় কি তোমার শাহারযাদী শুনাও কাহিনী সেই পুরাতন আল্ফ লায়লা জেব্-উন্-নিসা গুক্তি অকাল মেঘ লুমুম্বার আফ্রিকা কারান্তরালে জমীলা প্রশন্তি ও প্রার্থনা ফাতেহা-ই-দোয়াযদহম যে জীবন ইতিহাস আলোর ঝরণা অমৃত প্রাণ প্রজ্ঞার নগাধিরাজ মহাকবি শেক্স্পীয়র স্মরণে অভিযত্রিক জাগো দুর্বার উৎসবের দিনে এবার ঈদের জামা’ত কি হবে? অমৃত স্মৃতি এমন আশ্টর্য এই দিন কালের যাত্রার ধ্বনি হোক্ সবে মহিয়সী অমৃত কন্যা শেষের প্রার্থনা মৃত্তিকার প্রাণ আমার এ বনের পথে বিজয়িনী নীড় কর্ণফুলির কল্লোল গুনি নববর্ষে শব-ই-ক্বদর মানুষে মানুষে হোক্ পরিচয় মোর যাদুদের সমাধি ’পরে উনসত্তরের এই দিনে নীরবে চলেছে বাতাসে বারুদ মিছিল সারি সারি উদাত্ত বাংলা একত্রিশে চৈত্র আমন্ত্রণ এ আমার দেশ মোর যাদুদের সমাধি ‘পরে বেণীবিন্যাস সময় তো আর নেই কিছু অগ্রন্থিত স্বনির্বাচিত কবিতা মৃত্যুর মাধুর্য মস্কোয় বসন্ত অরণ্য কন্যারা জাগে স্বনির্বাচিত কবিতা/সুফিয়া কামাল-২ বৈশাখী আজকের কবিতা ম্যান্ডেলা আমেরিকা নবজাতকের তরে আধুনিক কবিতা সাম্প্রতিক ছড়া ৮ই মার্চ, নারী দিবস ব্যাঙের সর্দি তপস্যার ফল নটী নগরী নারী একটা আছে ছাগল মহাত্মার বাণী হে বন্ধু বিদায় সমুদ্র কোথায় যাবে? নিম রমজান শুধু তুমি মাতা অমৃতা বিজয়ের দিনে পুষ্প সূর্যমুখী
Sufia Kamal (জন্ম: ২০শে জুন, ১৯১১ - মৃত্যু: ২০শে নভেম্বর, ১৯৯৯) বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা কবি, লেখিকা, নারীবাদী ও নারী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে অতি পরিচিত ব্যক্তিত্ব।তাঁর পিতার নাম সৈয়দ আব্দুল বারী এবং মাতার নাম সৈয়দা সাবেরা খাতুন। তাঁর বাবা কুমিল্লার বাসিন্দা ছিলেন। যে সময়ে সুফিয়া কামালের জন্ম তখন বাঙালি মুসলিম নারীদের গৃহবন্দী জীবন কাটাতে হত। স্কুল-কলেজে পড়ার কোন সুযোগ তাদের ছিলো না। পরিবারে বাংলা ভাষার প্রবেশ একরকম নিষিদ্ধ ছিল। সেই বিরুদ্ধ পরিবেশে সুফিয়া কামাল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পাননি। তিনি পারিবারিক নানা উত্থানপতনের মধ্যে স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন। ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে সুফিয়ার যখন সাত বছর বয়স তখন তাঁর বাবা সাধকদের অনুসরণে নিরুদ্দেশ যাত্রা করেন। ফলে তাকে তার মা সাবেরা খাতুন অনেকটা বাধ্য হয়ে বাবার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেন। এই কারণে তাঁর শৈশব কেটেছিল নানার বাড়িতে। যে পরিবারে সুফিয়া কামাল জন্মগ্রহণ করেন সেখানে নারীশিক্ষাকে প্রয়োজনীয় মনে করা হত না। তাঁর মাতৃকুল ছিল শায়েস্তাবাদের নবাব পরিবারের এবং সেই পরিবারের কথ্য ভাষা ছিল উর্দু। এই কারণে অন্দর মহলে মেয়েদের আরবি, ফারসি শিক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও বাংলা শেখানোর কোন ব্যবস্থা ছিল না। তিনি বাংলা শেখেন মূলত তাঁর মায়ের কাছে। নানাবাড়িতে তাঁর বড় মামার একটি বিরাট গ্রন্থাগার ছিল। মায়ের উৎসাহ ও সহায়তায় এ লাইব্রেরির বই পড়ার সুযোগ ঘটেছিল তাঁর। ১৯২৪ সনে মাত্র ১৩ বছর বয়সে মামাত ভাই সৈয়দ নেহাল হোসেনের সাথে সুফিয়ার বিয়ে দেয়া হয়। নেহাল অপেক্ষাকৃত আধুনিকমনস্ক ছিলেন, তিনি সুফিয়া কামালকে সমাজসেবা ও সাহিত্যচর্চায় উৎসাহিত করেন। সাহিত্য ও সাময়িক পত্রিকার সঙ্গে সুফিয়ার যোগাযোগও ঘটিয়ে দেন তিনি। সুফিয়া সে সময়ের বাঙালি সাহিত্যিকদের লেখা পড়তে শুরু করেন। ১৯১৮ সালে কলকাতায় গিয়েছিলেন সুফিয়া কামাল। সেখানে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিলো। সুফিয়া কামালের শিশুমনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিলো বেগম রোকেয়ার কথা ও কাজ। সুফিয়া কামালের কাজেকর্মেও ছাপ পাওয়া যায় বেগম রোকেয়ার। ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় সুফিয়া কামাল মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। বাংলাদেশী নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই সম্মান লাভ করেন।