আকাশের অন্ধকার নেমেছে মাটির বুক জুড়ে। সেই অন্ধকারে চলছে তাণ্ডব- নৃত্য। হিংস্র পশুদের উন্মত্ত-উল্লাসের রাজ্যে। শুরু হয়েছে হানাহানির যন্ত্রণা। কি বীভৎস মূর্তি প্রত্যেক পশুর। আরো ঘন অন্ধকার-কালোর দু'টি হাত এগিয়ে আসছে। রক্তজবার আভা দশ আঙুলের পর্বে পর্বে। ভয়ঙ্কর পশুরা অদৃশ্য হয়ে গেল নিমেষে। পশুরাজ্য শান্ত। তিনদিক থেকে তিনটি আলোর রশ্মিরেখা ফুটে উঠল অন্ধকারে। শুচিশুভ্র সুন্দর আলো। এক একটি আলোর শরীরে পরিপূর্ণ রূপ পেল এক একটি রশ্মিরেখা। আলোর তিনটি মানুষ হাসছে । মধ্যিখানের মানুষটি বলছে, মনের অন্ধকার রাজ্য প্রবৃত্তির ছায়ায় ঢাকা। সেখানে পশুর উৎপাত দিনেরাতে। বাইরের হিংস্র পশু ভেতরেই তো বাসা বেঁধে রয়েছে। নিধনযজ্ঞে বাইরের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়, কিন্তু ভেতরের হাত থেকে উদ্ধার পেতে গেলে দস্তুর মতন শক্তির প্রয়োজন। সংযত শক্তি। বিবেকযুক্ত শক্তি। শক্তিলাভ করতে না পারলে সর্বনাশা কাম-ক্রোধ-লোভের প্রবল পশুপ্রভাব থেকে মুক্তি নেই। ডানপাশের আলোর মানুষ বলে উঠল, আছে। সৎবুদ্ধি সহায় হলে। বাঁদিক থেকেও ভেসে এলো কথা, সমস্ত কিছু পরাজয় করার বীরভাব মনে জেগে উঠলে, নিশ্চিত অসাধ্য সাধন হবে। তখন বীরভাবের মনই দেবভাবের সিঁড়ির ধাপে পা ফেলে ফেলে নির্দ্বিধায় উঠতে থাকবে ওপরে। ওপরে, আরো ওপরে। কে এরা তিনটি আলোর মানুষ ? প্রথমটি বিবেক, দ্বিতীয়টি সৎবুদ্ধি, তৃতীয়টি দেবভাবে ভাবিত মন। পশু ভাবের ভূতগ্রস্ত মানুষের এরাই মুক্তির প্রধান সম্বল। এরাই মানুষের ভেতরে অন্ধকার-রাজ্যে আলো। দেবীর ‘বালার্কমণ্ডলাকারলোচনত্রিতয়ান্বিতাং’–ত্রিনয়ন—উদয় সূর্যের স্নিগ্ধ উজ্জ্বল প্রভা। আর অন্ধকারে এগিয়ে আসা—মহামেঘপ্রভাং শ্যামাং—শ্যামা মায়ের পশুভাব বিনাশের দু'টি হাত—বর-অভয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও প্রভুকে স্বমর্যাদায় শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গনে সমর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রায় এক বছর তিনি অন্ন গ্রহণ করেন নি। দেশপ্রেম আর ভগবদ প্রেমের বিমূর্ত প্রকাশ দেখা যায় তাঁর মধ্যে। স্বাধীনতা উত্তর বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পূনর্নির্মাণে হাত দেন তিনি।সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পরাশান্তির আশ্রয়স্থল মন্দিরগুলো সংস্কার, কোথাও নতুন বিনির্মাণ করে বিপন্ন হিন্দুদের দুরবস্থা দুর করতে বহু মিটিং,বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের কাছে সাহায্য সহায়তা চাওয়া,সংবাদ সম্মেলন করা অর্থাৎ এককথায় তাদের মনোবলকে সমুন্নত করার প্রয়াস নিয়ে ছুটেছেন।