"গণিত অলিম্পিয়াডের প্রস্তুতি-১ম খণ্ড" বইয়ের ভূমিকা: পাঠকদের চাহিদার প্রেক্ষিতে গণিত অলিম্পিয়াডে লড়তে হলে বইটির পরবর্তী বই হিসেবে এটি প্রকাশিত হলাে। বলে রাখা ভালাে, সারা দেশে নিয়মিত গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে গণিত অনুশীলনের প্রতি একটি জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। আর এর জন্য দরকার পর্যাপ্ত অনুশীলন করার সুযােগ। এই বইটিতে পর্যাপ্ত অনুশীলনের জন্য সহস্রাধিক সমস্যা রয়েছে, পাশাপাশি কিছু বিষয়ের ওপর একটা পরিষ্কার ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটিতে প্রায় হাজারখানেক গণিতের সমস্যা দেয়া হয়েছে সমাধানসহ এবং ছয় ডজন সমস্যা রয়েছে সমাধান ছাড়া। আশা করা যায়, বইয়ে যেসকল সমস্যার সমাধান রয়েছে, একেবারে বাধ্য না হলে কেউ প্রথমে সমাধান দেখবে না। সমস্যাগুলাের সমাধানের চেষ্টা করলে পাঠকের মৌলিক দক্ষতার সৃষ্টি হবে। তাছাড়া একটি কথা মনে রাখতে হবে, এমনটি নয় যে মাত্র একটি উপায়ে কোনাে সমস্যার সমাধান করা যায়। বরং কোনাে সমস্যা সমাধানের একাধিক উপায় থাকতে পারে। অলিম্পিয়াডে উত্তরােত্তর প্রশ্নের মান বাড়ছে। আর তাই সফল হতে প্রস্তুতি নিতে হবে বছরজুড়ে। এতে জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়বে। বইটি মূলত আঞ্চলিক ও জাতীয় গণিত উৎসবের জুনিয়র ক্যাটাগরির (সেকেন্ডারি ক্যাটাগরির আংশিক) প্রস্তুতিকে মাথায় রেখে লেখা হয়েছে। তবে যারা গণিতে আনন্দ খুঁজে পেতে চায়, তাদের জন্যও রয়েছে বিস্তর রসদ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের চার ক্যাটাগরি-প্রাইমারি, জুনিয়র, সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারির আঞ্চলিক প্রশ্ন বােঝাতে (ভেন্যু উল্লেখ ব্যতীত) সালসহ যথাক্রমে P, J, s ও H চিহ্ন দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া জুনিয়র ক্যাটাগরির শিক্ষার্থীদের stals International Math Olympiad (IMO)-47 016981po 59259 ppg সমস্যা ও এর যথাসম্ভব সহজ সমাধান উলেখ করা হয়েছে। লক্ষ হলাে এ ক্যাটাগরি থেকেই যাতে IMO-এর জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে এবং যে ধরনের সমস্যার সমাধান করতে হয় সে ধরনের সমস্যার সাথে পরিচিত হয়ে নিজেকে একজন যােগ্য শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে তুলতে কিছুটা হলেও সহায়ক হয়।
বেশ, শেষতক খুশির খবর হলাে জাকিরের গল্পগুলাে গ্রন্থভুক্ত হয়েছে। আমরা যারা পাশাপাশি থেকে লেখালেখি করছি কিংবা সাহিত্যচর্চায় নিজেদের নিমগ্ন রেখেছি। তাদের মধ্য থেকে জাকিরকে আলাদা করে বিশ্লেষণ করার বৈশিষ্ট্য ওর আছে। মিতভাষী জাকির লেখালেখিতে দারুণ কথাপ্রিয় মাধ্যমিক শেষের বছর দুই আগে শরৎচন্দ্রের দত্তা পড়ার পর ওর মনে হয়েছে চাইলে লিখতে পারবে। কঁচি বয়সের এই আত্মবিশ্বাস পড়ালেখার পাশাপাশি বাবার কিনে দেওয়া কলমটি ব্যবহার করেছে নিজের লেখালেখিতে! ২০১০ সালে কলেজে পড়াকালে জাকিরের লেখা অক্ষরগুলাে প্রথমবারের মতাে ঠাই করে নেয় জাতীয় দৈনিকে। নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের ধারাবাহিক ফাউন্টেনপেনের পাশে নিজের লেখা। ব্যাপারটা ছিল নিঃসন্দেহে অনুপম অনুপ্রেরণার। ২০১৭ সালে ‘দৈনিক কালের কণ্ঠ’ আয়ােজিত গল্প প্রতিযােগিতায় ‘ভালােবাসার ইরেজার’ গল্পের জন্য পেয়েছে সেরা গল্পকারের পুরস্কার। গােটা গােটা লেখাগুলাে কথা বলে চলেছে লিটলম্যাগ, অনলাইন পত্রিকা ও সাময়িকীতে। ব্যবস্থপনায় গ্র্যাজুয়েট জাকিরের জন্ম ২৭ জুন ১৯৯৩। জন্ম ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী ঝর্ণাপাড়ায়। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়। মা-বাবার তিন সন্তানের মধ্যে জাকির প্রথম ও একমাত্র ছেলে।