"খেলাধুলার নিয়মকানুন” বইয়ের ভূমিকা: নিত্য তিরিশ দিনের গতানুগতিক আটপৌরে জীবনযাপনে মানুষ হাঁফিয়ে উঠেছে। প্রতিটি পদক্ষেপে টেনশনের ব্যারােমিটার যেন চড়চড় করে উঠছে তাে উঠছেই। এই অক্টোপাসের বাঁধন থেকে খানিকটা সরে গিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার জন্য আমরা মানুষগুলি অকৃত্রিম আনন্দের সন্ধানে এদিক-ওদিক ছুটছি। যদিও বা মেলে তাও সাময়িক চিরস্থায়ী নয়। এমন সময় যেন মুশকিল-আসানের ভূমিকায় খেলার জগৎ সামনে এসে জোরালাে গলায় বলল, ‘খেলাে। সময় করে মাঠে ময়দানে নেমে পড়াে। তাহলেই বুঝতে পারবে এখানেই যথার্থ আনন্দ লুকিয়ে রয়েছে। সত্যিই তাই। খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। যে-কোনাে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করলে মনে হয় শরীর মন দুই যেন নিমেষে তরতাজা হয়ে গেল। তাই গােটা বিশ্বে এখন খেলা নিয়ে রিসার্চ চলছে। হরেক রকমের খেলা। নানান তাদের নিয়মকানুন। সব খেলাই যে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক আসরে স্থান করে নিয়েছে তা নয়। তবে নিশ্চয়ই আগামী প্রজন্মে প্রচলিত খেলা হিসেবেই পরিচিতি লাভ করবে। কিন্তু একটা ঘটনা পরিষ্কার, মানুষ নিজের তাগিদেই এত বিচিত্র খেলার জন্ম দিয়েছে। নিজেকে ব্যস্ত রেখেছে খেলাধুলার ক্রমান্বয় প্রসারের জন্য। ভাবতে পারা যায় দুশাের কাছাকাছি বিভিন্ন রকমের খেলা পৃথিবীর নানান কোণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উদ্দেশ্য খেলার মাধ্যমে নিজেকে গড়ে পিঠে তৈরি করা। তাই বলে কি সবাই খেলােয়াড়? মােটেই নয়। খেলােয়াড়দের পাশাপাশি অগুনতি দর্শক রয়েছেন। একদল খেলার আঙিনায় নিজেদের উজাড় করে দিয়ে আনন্দ পাচ্ছেন। অপরদিকে তাদেরকে ঘিরে খেলাপাগল দর্শকরা আবেগে উচ্ছ্বাসে ভেসে চলেছে। আসলে খেলােয়াড় আর দর্শকদের মধ্যে রয়েছে নিবিড় সখ্যতা। এ যেন একে অপরের পরিপূরক। তাই বিশ্বের নানান দেশের ক্রীড়াঙ্গনে খেলােয়াড়রা যে যে খেলা নিয়ে মেতে থাকেন, ক্রীড়াপ্রেমিকরাও তার স্বাদ পেতে চান খেলাগুলির সঙ্গে পরিচিত হয়ে সেক্ষেত্রে বই হচ্ছে তাদের একমাত্র অবলম্বনসঙ্গী। ক্রীড়া-রসিকদের অপরিসীম কৌতুহল-অনুসন্ধিৎসার চাহিদা মেটানাের তাগিদেই আমাদের এই প্রয়াস।