‘পাখিদের শহরে যেমন’ বই এর ফ্ল্যাপের লেখা জয় একজন বিজনেসম্যানের ডানহাত। স্ত্রী কেয়ার সঙ্গে তার বিরোধ ক্রমশ বাড়ছে। কাজের ক্ষেত্রেও টেনশন বাড়ছে জয়ের। স্ত্রীর প্রতি সন্দেহ, অবৈধ ডলারের ডেলিভারি আর বস সুতনুর ব্যক্তিগত জীবনের ত্রিভুজে আটকে পড়ে জয় খুঁজছে বেরোবার পথ। এক বর্ষার রাতে নিয়তির অমোঘ টানে সে এগিয়ে যায়। রথী সদ্য ছাড়া পেয়েছে জেল থেকে। তার প্রেমিকা ব্লসম আর যোগাযোগ রাখতে চাইছে না। বাড়িতেও সমস্যা। অন্ধকার জগৎ ছেড়ে ব্লসমের কাছে চলে যেতে চায় রথী। কিন্তু তার আগে একটা শেষ কাজ করে দিতে হবে তাকে। রথীও ক্রমশ এগিয়ে যায় বর্ষার রাতটির দিকেই। বিষাণ মুখচোরা বলে ওয়াটার-পিউরিফায়ারের সেলসম্যান হিসেবে ব্যর্থ। তাকে দিয়ে বন্ধু নিজেদের পত্রিকার কাজ করিয়ে নেয়, দাদা অন্যায়ভাবে হেনস্থা করে, বস চাকরিতে নোটিস ধরায়, আর কুমুদ্বতী অদ্ভুত এক দূরত্বে ভেসে থাকে। ঘুরে দাঁড়াতে চায় বিষাণ। এই তিনটি গল্পকে গেঁথে রাখে বর্ষাকাল, কপিল নামে এক বৃদ্ধের নিরন্তর প্রশ্ন, আর বাড়ির কার্নিশে বা ব্রিজে বসে ভেজা পাখিদের দল। পাখিদের শহরের মতো মানুষের শহরেও মানুষ চায় ভালবাসার ধারাস্নান।
জন্ম ১৯ জুন,১৯৭৬ কলকাতায়। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। তিনি পৈতৃক ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত আছেন। স্মরণজিৎ চক্রবর্তী নঙ্গী হাইস্কুল থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হন। কিন্তু কিছুদিন পর পড়া ছেড়ে দেন। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক হন। স্মরণজিৎ চক্রবর্তী বর্তমান বাংলা সাহিত্যের এক উল্লেখযোগ্য লেখক। তরুণ তরুণীদের মধ্যে তিনি ভীষণ জনপ্রিয়। কবিতা দিয়ে তাঁর লেখালিখির শুরু। প্রথম ছোটগল্প প্রকাশিত হয় 'উনিশ কুড়ি' পত্রিকার প্রথম সংখ্যায়। প্রথম উপন্যাস 'পাতাঝরার মরশুমে'। তাঁর সৃষ্ট এক অনবদ্য চরিত্র অদম্য সেন। তাঁর শখ বলতে কবিতা, বই, মুভিজ আর ফুটবল।