"দশটি কিশোর উপন্যাস” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: গোয়েন্দা গল্প, অ্যাডভেঞ্চার, কল্পবিজ্ঞান, অভিযান কিংবা হাসির উপাখ্যানের ধরাবাঁধা পরিমণ্ডলের বাইরে এক নতুন ধরনের কিশাের-কাহিনী লিখে মতি নন্দী ছােটদের মন জয় করে নিয়েছেন। এই নতুন স্বাদের উপন্যাসগুলি তিনি লিখেছেন ক্রীড়া-জগতের আলেখ্যকে উপজীব্য করে। বিষয়সীমার এমন ব্যাপক সম্প্রসারণ তাঁর আগে কেউ ঘটাতে পারেননি। এদিক থেকে মতি নন্দী কিশােরকাহিনী রচয়িতাদের মধ্যে এক স্বতন্ত্র নাম। খেলতে খেলতে যারা বড় হয়ে উঠছে, তাদের কাছে এই কাহিনীগুলির জনপ্রিয়তা কেবল খেলাধূলার পরিচিত প্রতিচ্ছবিতে নয়। খেলার সূত্রে যে-লড়াই আর হারজিতের কথা বলা হয়েছে। এইসব গল্পে, সেই দিকগুলি কিশােরপাঠকদের অনুপ্রাণিত করে সবচেয়ে বেশি। তারা সবিস্ময়ে আবিষ্কার করে, এ গল্প তাদেরই। তাদেরই পাড়া, খেলার মাঠ, ক্লাব, পাড়ার লােক, আত্মীয়স্বজনের কথা এখানে। এ কাহিনী তাদেরই প্রত্যয় ও সংকল্পের, প্রয়াস ও স্বপ্নের। ক্রীড়া-জগতের আলাে-অন্ধকার, জয়-পরাজয়, প্রস্তুতি-পরীক্ষা, সংযােগ-প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিভিন্ন দিকে আলাে ফেলে এক অপরাজেয় বহুবর্ণী জীবনের উপাখ্যান চিত্রিত হয়েছে এই দশটি উপন্যাসে: ননীদা নট আউট, স্ট্রাইকার, স্টপার, অপরাজিত আনন্দ, নারান, ফেরারি, দলবদলের আগে, শিবার ফিরে আসা, তুলসী এবং মিনুচিনুর ট্রফি।
Moti Nandi ( জন্ম: ১০ জুলাই ১৯৩১ - মৃত্যু: ৩ জানুয়ারি ২০১০) ছিলেন ভারতের কলকাতা ভিত্তিক একজন বাঙালি লেখক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মতি নন্দী ছিলেন মূলত ক্রীড়া সাংবাদিক এবং উপন্যাসিক ও শিশু সাহিত্যিক। তিনি আনন্দ পুরস্কার এবং সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেছেন। তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস 'কোনি'।