সত্যিকার অর্থে মহাবিশ্বের সবকিছুই এক অপার রহস্যে ঘেরা। কিন্তু সব রহস্য বিজ্ঞানীরা আজও ভেদ করতে পারেন নি। সীমাহীন এই মহাবিশ্ব কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে আর তারপর বিবর্তন আর পরিবর্তন ঘটছে প্রতি মুহূর্তে, এ নিয়েও বিতর্কের শেষ নেই। একবিংশ শতাব্দীর দোরগোড়ায় এসে বিজ্ঞানীরা বলছেন, 'আমাদের এই গতিশীল মহাবিশ্ব সত্যিই এক অপার রহস্যের মাঝে লুকিয়ে আছে।' মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এ বিষয় নিয়ে যতোই গবেষণা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং অভিযান চালিয়েছেন ততোই অবাক হয়েছেন। মাঝে মাঝে বিস্ময়কর তথ্য আবিষ্কৃত হয়েছে যা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে এতোদিন একেবারেই অজানা ছিল। তবে বিজ্ঞানীরা আমাদের এই মহাবিশ্বের আসল রহস্য এবং তার চলমান কর্মকাণ্ডের প্রক্রিয়াগুলো জানার জন্য নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বৃহৎ বিস্ফোরণ এবং তার সংকোচনকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। এ মহাবিশ্বের স্থিতিকালের পরমমান, মহাকর্ষনীতি, আলোকের গতিশক্তি, বেতার তরঙ্গ, সময়ের হিসাব, গতি, বল, বস্তুপিণ্ডের ত্বরণ, মহাকর্ষীয় শক্তি ও বিধি, সময়ের দূরত্ব ও চলমান প্রকৃতি, স্থিতিমান, আলোকের দ্রুতি, ঘটনার মান, অতীত আলোক শঙ্কু, চলমান আলোক শম্ভু, ভবিষ্যত আলোক শঙ্কু, ব্যাপক অপেক্ষবাদ, গ্রহ-গ্রহান্তরের আবর্তন, চক্রণ, কক্ষপথ, সমান্তরাল মহাবিশ্ব, মহাবিশ্বের পদার্থ ও রসায়নের বস্তুগত দিক, অবস্থান ও আয়তনের দিক, মহাবিশ্বের প্রসারণ ও সংকোচন এ সকল বিষয় নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ব্যাপকভাবে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
খায়রুল আলম মনির একজন লেখক, গবেষক ও বিজ্ঞান বিষয়ক বই লেখার জন্য বাজারে বেশ আলােড়ন সৃষ্টি করেছে। তিনি বয়সে একেবারে তরুণ । খুব অল্প সময়ের মধ্যে এতােগুলাে গ্রন্থ রচনা সত্যিই বিস্ময়কর। খায়রুল আলম মনির পড়াশােনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বি.এস.এস সম্মান এবং ১৯৯৫ সালে একই বিষয়ে এম.এস.এস ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এছাড়াও বেশ কয়েকটি একাডেমিক ডিগ্রি অর্জন করেছেন কৃতিত্বের সাথে । ভ্রমণ করেছেন বেশ কয়েকটি দেশ। তার মৌলিক রচনা প্রায় অর্ধশত। তার রচিত গ্রন্থাবলির মধ্যে রয়েছে- ‘জীবনের জন্য বিজ্ঞান : ছােটদের বিজ্ঞান নিয়ে খেলা আধুনিক বিশ্বের বিজ্ঞান : বিজ্ঞান নিয়ে ভাবনা’ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।