আকাশটার আজ মন ভাল নেই। মনে হয় কোথাও ফুটো হয়ে গেছে। সারাদিন বৃষ্টি আর বৃষ্টি। লুকলুকির মনটাও ভীষণ খারাপ আজ। গত তিনদিন ধরে তার বিয়ের কথাবার্তা চলছে কিন্তু লুকলুকির বিয়েতে মত নেই। ভূতের রাজ্যে লুকলুকি হলো সব থেকে সুন্দরী ভূতি। তাই তাকে বিয়ে করার জন্য সবার আকুলতা। কিন্তু লুকলুকি কাউকেই বিয়ে করতে চায় না। তাই সে ফন্দি আঁটছে কী করে বিয়ে ভাঙ্গা যায়! কাল ভোরেই তাকে ভূত পাত্ররা দেখতে আসবে। কিছুতেই সে কিছু ভেবে পাচ্ছে না। রাতে লুকলুকির ঘুম ভেঙ্গে গেল। তখনই সে সিদ্ধান্ত নিল ভূত রাজ্য থেকে সে পালিয়ে যাবে। এই চিন্তা করেই সে মাঝরাতে বেরিয়ে পড়ল। সব ঠিক কিন্তু সমস্যাটা গিয়ে বাঁধল ভূত রাজ্যের প্রধান গেটে। লুকলুকি দেখতে পেল গেটের দারোয়ানরা পায়চারী করছে। কি আর করবে হতভাগী লুকলুকি, চারপাশে একবার তাকিয়ে চুপচাপ বসে রইল গেটের এককোণায়। বসে থাকতে থাকতেই একসময় সে ঘুমিয়ে পড়ল। হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ায় সে দেখতে পেল ভোর হয়েছে। গেটের দারোয়ানদের ঘুমাতে দেখে এই ফাঁকে লুকলুকি বেরিয়ে গেল ভূত রাজ্যের গেট থেকে। তারপর সে না বুঝেই দৌড়াতে লাগল। দৌড়াতে দৌড়াতে সে পৌছাল এক নদীর ধারে। যখন নদীর পানিতে লুকলুকি মুখ ভেজাচ্ছিল তখন সকাল গড়িয়ে দুপুর।
নাইস নূর, তারুণ্যের সোনালী আলোয় আলোকিত একটি নাম। স্বনামে উজ্জ্বল। কৈশোরের শুরু থেকে লেখালেখি। সাহিত্যের সব শাখাতে নিবেদিত হলেও গদ্যতেই সাচ্ছান্দবোধ করেন। কথাশিল্পী হিসেবে প্রতিনিয়ত নিজের পারদর্শিতার প্রমাণ দিয়ে চলেছেন। শখের বশে নাট্যচর্চার সঙ্গে হলেও বর্তমান খুব সিরিয়াস এ বিষয়ে। নিজের লেখা বেশ কয়েকটি নাটক প্রচার হবার পর ভালই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কিছুদিন শিক্ষকতাও করেছেন তিনি। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে মার্স্টাস করা এই লেখক এখন সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। লেখালেখি, সাংবাদিকতা, পড়াশোনা নিয়েই তার একান্ত আপন জগত। নিজের ভিতর তৈরী করে নিয়েছেন সৌন্দর্যের স্বপ্নিল ভুবন। যেখানে কেবল স্বপ্ন,কল্পনা ও সফলতার হাতছানি। সৃজনশীলতার সঙ্গে আপাদমস্তক ঘর সংসার তার। নিজেকে ছাড়িয়ে যাবার চেষ্টায় প্রতিনিয়ত ঘর্মাক্ত। নিজের কাঙ্খিত সাফল্যে পৌঁছাতে নাইস নূর সদা উদ্যমী,কর্তব্যনিষ্ঠ ও হুঁশিয়ার। পরম করুণাময়ের অনুগ্রহে দুরন্ত বেগে ছুটে চলা তারুণ্যের এই মেধাবী অগ্রপথিককে ঠেকায় কে? লেখকের প্রকাশিত বই - মেঠো পথে একদিন (কবিতা,২০১০), শুন্ডু ভূতের পাঁচকন্যা(গল্প,২০১৩), কার্টুনের দেশে মনিকা(গল্প,২০১৩), না ছোঁয়ার স্পর্শ (গল্প,২০১৩), সাদমানের ক্রিকেটার বন্ধু( গল্প,২০১৪), ফেসবুকে ভূত মামার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট (গল্প, ২০১৪), A Tale Of Blind Princess( গল্প,২০১৫), Blind princess and the Fairy (গল্প,২০১৮), Blind princess with the Bengal Tiger (গল্প,২০১৯), ‘অ এর প্রিয় বন্ধ ঔ’ (গল্প,২০১৮), ‘জেবার প্রিয় বারবি ডল’(গল্প ২০১৭), ‘পিহুর জন্মদিনে ডাইনোসরের উপহার’ (গল্প ২০২৩)