"পুতুলের ঘর" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: পুতুলের মতাে বাক্সবন্দি থাকতে চায়না নবপ্রজন্ম । ঐতিহ্য, ইতিহাস, যুদ্ধ ও সংগ্রামের গৌরব রক্ষায় যুদ্ধদিনের মতােই আজ প্রতিবাদে সােচ্চার এবং প্রতিরােধে উত্তাল জনপদ। শ্রম ও কাজের সাথে সম্পর্কহীন অর্থ চূড়ান্তভাবে জীবনের প্রয়ােজন মেটাতে পারেনা- এ উপলব্ধি নতুন করে ফিরে আসে মানুষের বােধের আঙিনায় । মানবিকতার সাথে। সম্পর্কহীন কিছু কিছু নিয়ম ও কানুনের যাঁতাকলে পিষ্ট হয় মানুষ । এসব কথকতা শুনতে হবে ধৈর্য ধরে । পরিবর্তন করতে হবে মানবিকতার সাথে সাংঘর্ষিক নিয়ম ও বিধানকে । প্রত্যন্ত গ্রামের অচেনা চরিত্র ‘টকার’-এর আনন্দ ও কষ্টের যুগলবন্দি, গরিব মানুষদের প্রতি আদালতপাড়ার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আফাজউদ্দিনের ভালােবাসা, অনেক বছর পর কলেজের মেয়ে বিউটির সাথে দেখা হওয়ার অনুভূতি, জন্মদাতা না হয়েও এক পরিচয়হীন বৃদ্ধের বাবা হয়ে ওঠার ঘটনা অনুসন্ধান করতে হয় মহত্তর জীবনের প্রয়ােজনেই। বধ্যভূমির চত্বরে দাঁড়িয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান সুকুমাররঞ্জন । তাঁর সামনে পতাকাদন্ডে পতপত করে উড়ছে লালসবুজ পতাকা। নির্ভীকচিত্তে তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে পতাকাকে। সালাম জানাচ্ছে ছেলে-বুড়াে, কিশাের-কিশােরী, যুবক-যুবতী, তরুণ ও তরুণীরা। স্বাধীনতা ও সংগ্রামের অতন্দ্র প্রহরী, বীর মুক্তিযােদ্ধা সুকুমাররঞ্জনকে দেখে অবনত হয় তারা বিনম্র শ্রদ্ধায় । গল্পগুলাের কাহিনি উঠে এসেছে জীবন থেকে । গ ল্প সূ চি * পুতুলের ঘর * বাবার বন্দুক * কলেজের মেয়েটি * সেই তার হাসি * বাবা * এক নম্বর রোডের এক নম্বর বাড়ি * টাকা * মোকদ্দমা বিস্কুট * টকার * প্রহরী
শিল্প-সাহিত্যের ক্ষেত্রে হারুন রশীদের পরিচয়- তিনি একজন নাট্যকার ও অভিনেতা। বহুসংখ্যক নাটক লিখেছেন তিনি মঞ্চ পথ ও টেলিভিশনের জন্য। অভিনয় করেছেন অনেক নাটকে। হারুন রশীদ পেশায় সরকারি কর্মকর্তা- বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য। কিশাের বয়স থেকেই লেখালেখির সাথে যুক্ত। সরকারি চাকরিতে যােগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত ছাত্রজীবনেই যুক্ত ছিলেন সাংবাদিকতা পেশায়। লেখাপড়া করেছেন ফরিদপুরের ভাঙ্গায়, সিরাজগঞ্জে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযােগাযােগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে।