"ছোটদের একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি আমাদের আত্মপরিচয় ও চেতনার উৎস মূল। মায়ের মুখের ভাষা বাংলা ভাষার জন্য বাঙালি জাতিকে জীবন উৎসর্গ করতে হয়েছে। এ আমার গর্ব-অহংকার। আমার গর্বিত বর্ণমালা আজ রক্তস্নাত-উজ্জ্বল-শাশ্বত। এই প্রিয় মাতৃভাষার জন্য শহীদ সালাম-বরকত-রফিক-জব্বার-শফিউল-অহিউল্লাহ আজ ইতিহাসে অমর। বীরের তকমা সমগ্র জাতির ললাটে। ২১শে ফেব্রুয়ারি এখন জাতিসংঘের ইউনেস্কো ঘােষিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ আমার আত্মত্যাগ অর্জনের স্বীকৃতি। ভাষা আন্দোলনের ষাট বছরে আমাদের ঐতিহ্যকে জানতে বাংলা ভাষা সাহিত্য-সংস্কৃতির বিজয়ে আমরা একাত্ম হই। মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতার এই চল্লিশ বর্ষে আমরা স্মরণ করি কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল্ল ইসলাম আর বাহান্ন থেকে একাত্তরের সকল সংগ্রাম-আন্দোলন তথা সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে। সেই সঙ্গে সকল ভাষা সংগ্রামী অমর যােদ্ধাদের। এই ইতিহাস আমাদের অস্তিত্ব ও আত্মপরিচয়ের আলােক বর্তিকা। প্রজন্মের পর প্রজন্মে প্রতিটি বাঙালিকে পাঠ করতে হবে। এ আমার দায়। বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদের কর্তব্য। আমাদের সন্তানেরা বাঙালি হবে- মানুষ হবে- মানবিক হবে। ‘ছােটদের একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' বইটি আমাদের ঋদ্ধ করুকউদ্দীপ্ত করুক এই আমার প্রত্যাশা।
আসলাম সানী। জন্ম : ৫ জানুয়ারি ১৯৫৮, বেগম বাজার, লালবাগ, ঢাকা। পিতা : মরহুম আলহাজ্ব মোহাম্মদ সামিউল্লাহ, মাতা : মরহুমা শাহানা বেগম। পেশা : লেখালেখি, সাংবাদিকতা, অভিনয়। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত নাট্যকার-নাট্যশিল্পী ও গীতিকার। সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় কবিতা পরিষদ। জীবন সদস্য, বাংলা একাডেমী। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। সদস্য : বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)। প্রকাশনা সম্পাদক, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি। সাংস্কৃতিক সম্পাদক, চিত্রালী পাঠক-পাঠিকা চলচ্চিত্র সংসদ (চিপাচস)। কাব্যগ্রন্থ, গল্পগ্রন্থ, ছড়াগ্রন্থ, জীবনী, সম্পাদনাসহ তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা শতাধিক।