সূচিপত্র রাজা যায় রাজা আসে আবুল হাসান বনভূমির ছায়া স্বকৃতি চাই পাখি হয়ে যায় প্রাণ চামেলী হাতে নিম্নমানের মানুষ ঐ লোকটা কে শিল্পসহবাস সবিতাব্রত প্রতিনির্জনের আলাপ জন্ম মৃত্যু জীবনযাপন ব্লেড মাতৃভাষা বৃষ্টি চিহ্নিত ভালোবাসা উচ্চারণগুলি শোকের শান্তিকল্যাণ নিঃসন্দেহ গন্তব্য ঘৃণ্য স্বাতীর সঙ্গে এক সকাল ব্যক্তিগত পোশাক পরলে মেঘেরও রয়েছে কাজ একলা বাতাস গাছগুলো শীতে ভালোবাসা পদ্ধতি স্মৃতিকথা প্রত্যাবর্তনের সময় রূপসনাতন অন্তর্গত মানুষ বদলে যাও, কিছুটা বদলাও একমাত্র কুসংস্কার বয়ঃসন্ধি মৌলিক পার্থক্য সেই সুখ অসভ্য দর্শন একটা কিচু মারাত্মক দুরযাত্রা মিসট্রেস|ফ্রি স্কুল স্ট্রীট শিকড়ে টান পড়তেই অগ্নি দহন বুনো দহন প্রতিক্ষার শেখগাথা কথা দিয়েছিলি কেন, বলেছিলি কেন ফেরার আগে সাইকেল ক্লান্ত কিশোর তোমাকে স্রোতে রাজহাঁস আসছে মানুষ যে তুমি হরণ করো কালো কৃষকের গান উদিত দুঃখের দেশ ক্ষমাপ্রদর্শন অপেক্ষায় থেকো ভ্রমণ যাত্রা অসহ্য সুন্দর একটি মহিলা আর একটি যুবতী অনুতাপ আড়ালে ও অন্তরালে এখন পারি না স্তন সেই মানবীর কণ্ঠ পরাজিত পদাবলী পাতকী সংলাপ ধূলো দ্বৈতদ্বন্দ্ব অন্যরকম সাবধানতা অস্থিরতা এই ভাবে বেঁচে থেকো, এই ভাবে চতুর্দিক কচ্ছপ শিকারীরা ঘুমোবার আগে আশ্রয় সে আর ফেরে না তুমি ভালো আছো করুণসিঞ্চন টানাপোড়েন ভুবন ডাঙ্গায় যাবো প্রবাহিত বরাভয় একজন ধর্মপ্রণেতা নির্বিকার মানুষ নিঃসঙ্গতা ভিতর বাহির তোমার চিবুক ছোঁবো, কালিমা ছোঁবো না বন্দুকের নল শুধু নয় গোলাপের নীচে নিহত হে কবি কিশোর আমি অনেক কষ্টে আছি স্থিতি হোক কুরুক্ষেত্রে আলাপ শস্যপর্ব কবির ভাসমান মৃতদেহ পৃথক পালঙ্ক নচিকেতা মেধা দূরে ছিলে বুঝতে পারনি মোরগ অন্য অবলোকন এই সব মর্মজ্ঞান কল্যাণ মাধুরী ভিতর বাহির অপেক্ষা আহত আঙ্গুল নর্তকী ও মুদ্রাসঙ্কট মীরা বাঈ শৃন্বন্তু অপরূপ বাগান ধরিত্রী অবহেলা করার সময় অনেক দিন পর ভালোবাসার কবিতা যুগলসন্ধি বিচ্ছেদ এক প্রেমিকের কথা কয়লা
আবুল হাসান ১৯৪৭ সালের ২৭ আগস্ট গােপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ার বর্নি গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস পিরােজপুর জেলার নাজিরপুরের ঝনঝনিয়া গ্রামে। তিনি ঢাকার আরমানিটোলা সরকারি বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৩ সালে এসএসসি এবং ১৯৬৫ সালে। বরিশালের ব্রজমােহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে ভর্তি হলেও মধ্যপথে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশােনার ইতি ঘটান। ১৯৬৯ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের বার্তা বিভাগে যােগদানের মাধ্যমে শুরু হয় তার কর্মজীবন । পরবর্তীকালে দৈনিক গণবাংলা (১৯৭২-১৯৭৩), দৈনিক জনপদ (১৯৭৩-৭৪) পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আবুল হাসানের প্রকাশিত গ্রন্থ : রাজা যায় রাজা আসে (১৯৭২), যে তুমি হরণ করাে (১৯৭৪), পৃথক পালঙ্ক (১৯৭৫)। তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় ‘আবুল হাসানের অগ্রন্থিত কবিতা' (১৯৮৫), কাব্যনাট্য ‘ওরা কয়েকজন (১৯৮৮), আবুল হাসানের গল্প (১৯৯০)। জীবদ্দশায় আবুল হাসান উল্লেখযােগ্য কোনাে পুরস্কার পাননি। মরণােত্তর পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৫), একুশে পদক (১৯৮২)। আবুল হাসান ১৯৭৪ সালের ১৯ নভেম্বর জার্মানির বার্লিন যান চিকিৎসার জন্য, ফিরে আসেন ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ১৯৭৫ সালের ২৬ নভেম্বর মাত্র আটাশ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।