"দি বেসিকস অফ ফটোগ্রাফি" বইয়ের লেখকের কথা : আমি ধরে নিয়েছি একজন নতুন মানুষ যিনি ফটোগ্রাফি শুধু দেখেছেন, কিন্তু নিজে করেননি, তিনিই এই বইটি পড়বেন। এটা বিবেচনা করে বইটির বর্ণনা, শব্দ ও নকশাসমূহ যতটা সম্ভব সহজবােধ্য করার চেষ্টা করেছি। এরপরও এই বইটি জটিল মনে হতে পারে। কারণ, ফটোগ্রাফি বাইরে থেকে যতটা সহজ মনে হয়, ভেতরে সে তুলনায় অনেক জটিল। বইটিকে যারা আয়ত্বে আনতে চান, তারা বুঝুন বা না বুঝুন আগে একবার পড়ে শেষ করে ফেলুন। দ্বিতীয়বার পড়ার সময় বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করুন। যে কথাগুলাে বুঝবেন না, সেগুলাের নিচে হাইলাইট পেন দিয়ে আন্ডার লাইন করুন। পাশে একটি প্রশ্ন বােধক চিহ্ন দিয়ে রাখুন। পরবর্তী সময়ে কোনাে ফটোগ্রাফির শিক্ষকের কাছ থেকে প্রশ্ন চিহ্নিত বিষয়গুলাে বুঝে নিন। আবার যে জিনিসগুলােকে সব সময় মনে রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করবেন তার নিচে অন্য রঙে আন্ডার লাইন করুন। | ফটোগ্রাফি শেখার জন্য ক্যামেরার ঐ সব মােড় ব্যবহার করা উচিত যেখানে ফোকাস, শাটার স্পিড এবং অ্যাপারচার এবং আইএসও ইচ্ছে মত নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ক্যামেরাই যেখানে প্রায় সবকিছু করে দেয়, তা দিয়ে তেমন কিছু শেখা সম্ভব নয়। একটি ডিজিটাল এসএলআর কিংবা এসএলআর টাইপ কম্প্যাক্ট ডিজিটাল ক্যামেরা সংগ্রহ করুন এবং এই বই থেকে শেখা বিষয়গুলাে একের পর এক প্র্যাকটিস করতে থাকুন।
একজন নতুন শিক্ষার্থীর প্রাথমিকভাবে যা জানা দরকার তা-ই এখানে সন্নিবেশ করা হয়েছে। এই বইটি ভালােভাবে বােঝা এবং প্রয়ােজনীয় প্র্যাকটিসের পর ‘ফটোগ্রাফি কলাকৌশল ও মনন পড়ন। এরপর বাংলা কিংবা বিদেশী ভাষায় লেখা অন্যান্য বইগুলাে পড়তে পারেন। তবে মনে রাখবেন, পড়লে ধারণা হয় মাত্র, হাতে কলমে কাজগুলাে না করা পর্যন্ত কিন্তু আপনার শেখা পরিপূর্ণ হবে না। ফটোগ্রাফি শেখার ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অবশ্যই মূল্যবান। বই পড়ে শিখতে গিয়ে শিক্ষার্থী অনেক কিছু এক সাথে গিলে ফেলেন, ফলে অনেক ক্ষেত্রেই গােলমাল হয়ে যায়। শিক্ষক খাবারের তালিকার মতাে নিয়ম মাফিক অল্প অল্প করে শেখান এবং চর্চা করান। ফলে শেখার বিষয়গুলাে শ্ৰেণীবদ্ধ এবং কাজের উপযােগী হয়ে শিক্ষার্থীর কাছে সঞ্চিত হয়।
যুদ্ধই জীবনের সৌন্দৰ্য জন্ম গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার হােসেনপুর গ্রামের এক সাধারণ কৃষক পরিবারে। কৈশোরে পরিচিত হন। সবুজ ঝোপঝাড়, মাঠ, গরু, গুডিড, বানের পানি আর মুক্ত আকাশের সাথে। অক্ষর শেখার আগেই ছবি আঁকা শুরু করেন, তবে কাগজে নয়, মাটির ওপর। আর্ট কলেজে ভর্তি হওয়ার বড় সাধ ছিল, নানা কারণে হয়ে ওঠেনি। ভালো ছাত্র হলেও পরিস্থিতির ঘুর্ণিপাকে থেমে গেছেন অনেকবার। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে শেষ প্রান্তে এসেও শেষ করেননি। জীবনের টানাপোড়নে ঢাকায় এসে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে। ফটোগ্রাফির চর্চা শুরু করেন। উনানব্বই নাগাদ'। ফটোগ্রাফিতে ডিপ্লোমা করেন আলোকচিত্রাচার্য এম.এ. বেগের কাছে। এরপর জীবিকার তাগিদে অ্যামেরিকা চলে গেলে সেখানে ফটোগ্রাফি বিষয়ে দু’বছরের গ্রাজুয়েশন কোর্স সমাপ্ত করেন। নিউইয়র্কে অবস্থানকালীন সময়ে একটি অ্যাডভারটাইজিং ফটাে স্টুডিওতে ফটােগ্রাফার হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করেন।