লেখক পরিচিতি: সতীনাথ ভাদুড়ীর জন্ম ১৯০৬ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর, পূর্ণিয়ার ভাট্টাবাজারে। পিতা ইন্দুভূষণের আদিবাড়ি পশ্চিমবঙ্গের। কৃষ্ণনগরে। ১৮৯৬ সালে পূর্ণিয়ায় আসেন। ও ব্যবহারজীবী রূপে প্রতিষ্ঠা পান। সতীনাথের স্কুল জীবন শুরু হয় পূর্ণিয়া। জেলা স্কুলে। ১৯২৪ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। তারপর পাটনা সায়েন্স কলেজে ১৯২৬ সালে আই এসসি পরীক্ষা পাশ করেন এবং ১৯২৮ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক হন। এই বছরেই মাতৃবিয়ােগ (রাজবালা দেবী) হয়। ১৯৩০ সালে অর্থনীতিতে এম.এ. পাশ করেন। ১৯৩১ সালে পাটনা আইন কলেজ থেকে বি.এল পাশ করেন। ১৯৩২ থেকে ১৯৩৯ পর্যন্ত সময়ে সতীনাথ। পিতার সহকর্মীরূপে পূর্ণিয়া কোর্টে ওকালতি। শুরু করেন। এই সময়ে নানাবিধ সমাজসেবা মূলক কাজেও জড়িয়ে পড়েন। তার মধ্যে ছিল বলিপ্রথা রদ ওমদের দোকানে পিকেটিং আন্দোলন। সাহিত্যচর্চা শুরু হয় এই সময়েই। বাড়ি বাড়ি। বই সংগ্রহ করে পূর্ণিয়া লাইব্রেরি স্থাপন। করেন। পরবর্তীকালে এটির নাম হয় ইন্দুভূষণ। সাধারণ পাঠাগার। বাংলা ম্যাগাজিন ক্লাব। গঠন, সাহিত্যপাঠ, স্মরণশক্তি প্রতিযােগিতা,। সাহিত্য আড্ডা প্রভৃতি শুরু হয় তার উদ্যমে। এই সুত্রেই প্রবীণ সাহিত্যিক কেদারনাথ। বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহ ও সান্নিধ্য লাভ করেন। আবার এই সময়েই সতীনাথের রাজনৈতিক জীবনও শুরু হয়। গান্ধীজীর অসহযােগ আন্দোলনে যােগ দেন। মদের দোকান বন্ধের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। পুলিশের লাঠির। সম্মুখীন হতে হয়। পুলিশের চোখ এড়িয়ে গভীর রাতে ঘুরে স্বাধীনতা আন্দোলনের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন ঘরে ঘরে। ১৯৪০ সালের জানুয়ারিতে সতীনাথের প্রথম কারাবরণ ঘটে।