"কিং কঙ : বিশাল চেহারার গরিলা কিং কঙ্কে নিয়ে তোলা সিনেমার মূল গল্পটি নিয়েই এই বই। তবে এই গল্পের নায়ক-নায়িকা ভাই আর বোন। তারা অবশ্য বাঙালী। চলচ্চিত্রের কিং কঙ বন্দী হয়ে আমেরিকায় গিয়েছিল। এই গল্পে তারা এসেছে কলকাতায়। অমানুষিক মানুষ : আফ্রিকার জঙ্গলের গরিলা, সিংহ, হিপোপটেমাস, হাতি, গণ্ডার, কুমীর তো আছেই, কিন্তু আর যারা আছে তারা | বড় ভয়াবহ। আছে টানা। সে মানুষ। কিন্তু তাকে লালন-পালন করেছে গরিলারা। গরিলাদের সঙ্গে থাকতে থাকতে সেও গরিলাদের মতো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। আর আছে জুজু পাহাড়ের অমানুষিক মানুষেরা। ঐ পাহাড়ে যে যায় সে আর বেঁচে ফেরে না। কিন্তু কেন ? সেই সব কাহিনী নিয়েই এই বই। ভগবানের চাবুক : এ এক সত্যিকার অথচ অত্যাশ্চর্য অ্যাডভেঞ্চার কাহিনী। যুগে যুগে এক একটা জাতির পাপকে দণ্ড দেবার জন্য ভগবান চাবুকের ব্যবস্থা করেন। নাদির সা কিংবা হুনরাজ আটিলাও যাঁর কাছে ম্লান হয়ে যান এমন একজন দুর্ধর্ষ যোদ্ধা— আজও গোটা পৃথিবীর মানুষের কাছে যাঁর নাম মহামারীর মতোই ভয়ানক, তারই কাহিনী। আলেকজেণ্ডার দি গ্রেট : আলেকজেণ্ডারই পৃথিবীর প্রথম দিগ্বিজয়ী। তাঁর দিগ্বিজয়ের কাহিনী যে কোনো গল্প-উপন্যাসকেও হার মানায়।"
কিং কঙ্ অমানুষিক মানুষ ভগবানের চাবুক আলেকজান্ডার দি গ্রেট
জন্ম ১৮৮৮, কলকাতা। সাহিত্যচর্চার শুরু মাত্র ১৪ বছর বয়সে। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। খেয়ালি জীবন, ঘুরে বেড়িয়েছেন সাহিত্য সংস্কৃতির নানান স্রোতে। ‘ভারতী’ গােষ্ঠীর সাহিত্যিক হিসেবেই প্রথম পরিচয়। ‘বসুধা’ পত্রিকায় প্রথম গল্প প্রকাশিত হয়। বহু গান লিখেছেন, নাচ শেখাতেন, নাটকও লিখেছেন। সম্পাদনা করেছেন নাটক বিষয়ক সাময়িকপত্র ‘নাচঘর’। পরবর্তী সময়ে সম্পাদক ছিলেন ছােটদের বিখ্যাত পত্রিকা রংমশাল-এরও। কিশাের সাহিত্যের এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। লিখেছেন অজস্র বই। বয়স্ক পাঠকদের জন্য কাব্য-অনুবাদে ‘ওমর খৈয়ামের রুবায়ত’ বা ছােটদের জন্য ‘যকের ধন, ‘দেড়শাে খােকার কাণ্ড’, ‘ঝড়ের যাত্রী’, ‘কিং কং’ সমান আদৃত। বিখ্যাত প্রবন্ধের বই ‘বাংলা রঙ্গালয় ও শিশিরকুমার। জীবনাবসান ১৮ এপ্রিল ১৯৬৩।