কৃষি এবং শিক্ষা সম্পর্কে যে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন তারেক রহমান তা অনেকটা বিশেষজ্ঞের বক্তব্য। আমাদের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির মূলভিত্তি যে কৃষি তা বলতে ভোলেন নি তিনি। ভোলেন নি কৃষিকে কীভাবে অধিক প্রাণবন্ত করা যায় এবং কৃষির সাথে সংশ্লিষ্ট যারা তাদেরকে কীভাবে প্রণোদনা দিয়ে অধিক আগ্রহী এবং উৎপাদনমুখী করা যায়। কৃষিক্ষেত্রে করণীয় ছয়টি মৌলিক বিষয় সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করে এই সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্তের সমন্বয়ে 'কৃষি তথ্যভাণ্ডার' গড়ে তোলার প্রস্তাবনা সত্যই তাঁর সৃজনশীল মেধার পরিচয়। শিক্ষা সম্পর্কে তাঁর উক্তি তাৎপর্যপূর্ণ। 'একটি শিক্ষিত জাতি একটি দেশের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।' তিনি বলেছেন, 'উন্নয়ন ও প্রগতির লক্ষ্যে আমাদের যত উদ্যোগ সেগুলোর বাস্তবায়ন ও কার্যকরতার পূর্বশর্ত একটি দীর্ঘমেয়াদী ও সুপরিকল্পিত শিক্ষা নীতি। শিক্ষা ব্যবস্থাকে একদিকে যেমন জীবন ঘনিষ্ঠ হতে হবে, অন্যদিকে তেমনি হতে হবে যুগোপযোগী। এভাবে একজন বাংলাদেশীকে গড়ে তুলতে হবে একজন মূল্যবান বিশ্ব নাগরিক হিসেবে। মাতৃভাষায় দক্ষ, কিন্তু ইংরেজি এবং আরো দুটি ভাষায় ভাব প্রকাশে সক্ষম। এই উদ্যোগের ফলে বিশ্বের মেধা দরবারে এবং আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারে বাংলাদেশের প্রবেশ নতুন মাত্রা পাবে। এজন্য শিক্ষা দান এবং মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় মৌলিক পরিবর্তন আনা জরুরি।'