"আমাদের জাতিসত্তার বিকাশধারা" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা আমাদের জাতিসত্তার বিকাশধারা আমাদের সংস্কৃতির পরিচয়কে নতুন করে উদ্ঘাটন করেছে। আমরা একটি বিশেষ ভূখণ্ডের অধিবাসী এবং সেই ভূখণ্ডের অতীত এবং বিশ্বাস আমাদের সংস্কৃতি নির্মাণে যে বিপুলভাবে সহায়ক, মােহাম্মদ আবদুল মান্নান তা তার গ্রন্থের মধ্যে সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন। এ অঞ্চলের মানুষের যে একটি স্বতন্ত্র সত্তা আছে এবং তা পাল আমল থেকে ক্রমশঃ গড়ে উঠেছে, তার একটি পূর্ণাঙ্গ বিবরণ এবং সতর্ক বিবেচনা মােহাম্মদ আবদুল মান্নানের গ্রন্থে পাওয়া যায়। –সৈয়দ আলী আহসান....
With the critical eye of a journalist .. and as a true seeker of truth and researcher ... it was perhaps for Mr. Abdul Mannan to complete the unfinished task, to give us a complete picture ... in the form of the present book... One now finds how the facts of history have been willfully distorted, and suppressed, how the image of our heroes ... tarnished, how the battle of Plassy .. depicted as the 'war between gods and devils ... -The Bangladesh Observer, 12.08.2004
This book gives a glimpse into the deprivation of and conspiracy agains Muslims. But the long history ... testifies to the fact that ... : they suffered all losses but did not yield to the heinous tactics either by the British rulers or the privileged Hindus ... Mr. abdul Mannan deserves cheers and congratulations on presented the nation with the book. -The New Nation, 09.09.1994
বিশ্বের মানচিত্রে একটি জনগােষ্ঠী কিভাবে একটি অনন্য জাতিসত্তায় পরিচিতি লাভ করলাে ... তার প্রােফাইল ...। মােহাম্মদ আবদুল মান্নান দেখিয়েছেন কিভাবে যুগে যুগে শােষণ, বঞ্চনা, ... বিশ্বাসঘাকতা, ভ্রান্তির পথ পেরিয়ে ... একটি জাতি তার সবুজ জমিনে লাল সূর্যকে অঙ্গিক করেছে। এই গবেষণা গ্রন্থটি এক বলিষ্ঠ দিদর্শন। —সাপ্তাহিক কলম, কলকাতা, ০৩.১১.২০০১
মােহাম্মদ আবদুল মান্নান... আমাদের জাতিসত্তার বিকাশের ক্রমধারাকে... শুধু চিহ্নিতই করেননি বরং ... গবেষকদের জন্য অসংখ্য উপাদান চয়ন করেছেন। ... আমরা যাতে সঠিক সময়ে নির্ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারি সে জন্য বইটির বহুল প্রচার অত্যন্ত প্রয়ােজন। -নতুন সফর, মে ১৯৯৪
মোহাম্মদ আবদুল মান্নানের মানসকাঠামো ও সৃজনচিন্তার মূল প্রেরণা স্বদেশ। নতুনতর ইতিহাস আবিষ্কারের দ্যোতনায় উদ্ভাসিত তার ‘বাংলা ও বাংগালী মুক্তি সংগ্রামের মূলধারা’ (১৯৯১), ‘আমাদের জাতিসত্তার বিকাশধারা’ (১৯৯৪), ‘বঙ্গভঙ্গ থেকে বালাদেশ’ (২০০৭) শিকড়সন্ধানি ইতিহাস চেতনার এবং ইতিহাস পুনর্র্নিমাণের অখণ্ড দলিল। রাজ-রাজড়ার কাহিনী না বলে তিনি স্বজাতির স্বরূপ অন্বেষায় চির মুক্তিপিপাসু নির্বিত্ত লাঞ্ছিত মানুষের দীর্ঘ ধারাবাহিক সংগ্রামের আনুপূর্বিক ইতিবৃত্তের সাথে বর্তমানকে যুক্ত করেন। তার লেখা ‘বাংলাদেশের পুলিশ’ (১৯৮৩), ‘গবেষণার নীতি ও পদ্ধতি’ (১৯৯০), ‘সৌদি আরবে বাংলাদেশী অভিবাসী : একটি সরেজমিন সমিক্ষা’ (২০০১), ‘এই আমার বাংলাদেশ’ (কিশোর, ২০০৩), ‘ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থা’ (২০০৭), ‘বাংলার মুসলিম নবজাগরণে শাহ ওয়ালিউল্লাহ ও জামাল উদ্দীন আফগানী’ (২০০৭), ‘সোনার দেশ বাংলাদেশ’ (কিশোর, ২০০৮), ‘কালো গেলাফ’ (ভ্রমণ, ২০১৫), ‘ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার গোড়ার কথা’ (২০১৬) তাকে চিহ্নিত করেছে স্বতন্ত্র মনীষায়। ইতিহাস গবেষণায় অবদানের জন্য তিনি ‘নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী এ্যাওয়ার্ড’ (২০১৪), ‘বায়তুশ শরফ আঞ্জুমানে ইত্তেহাদ এ্যাওয়ার্ড’ (২০১২), ‘কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ পদক’ (২০১১), ‘কবিতালাপ পুরস্কার’ (২০১১), ‘নওয়াব সলীমুল্লাহ মেমোরিয়াল এ্যাওয়ার্ড’ (২০০৮), ‘নওয়াব ফয়জুন্নেসা স্বর্ণ পদক’ (২০০৮), ‘জাতীয় নজরুল সমাজ পদক’ (২০০৮)-সহ বহু সম্মাননা ও সংবর্ধনা লাভ করেন। দেড় দশক সাংবাদিকতার পর ১৯৮৩ সালে ইসলামী ব্যাংক-এ যোগ দিয়ে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের পর ২০১০ সাল থেকে তিন মেয়াদে প্রায় সাত বছর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এবং সিইও থাকাকালে তিনি ২০১৩-২০১৫ মেয়াদে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, গ্রাহক ভিত্তি প্রসার, দারিদ্র বিমোচন, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি, শিল্পায়ন, মানবসম্পদ ও কাঠামোগত উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে এশিয়ার এগারো হাজার প্রধান নির্বাহীর মধ্য থেকে ‘দি এশিয়ান ব্যাংকার সিইও লীডারশীপ এচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড’ (২০১৬) লাভ করেন। এ ছাড়া ‘ইসলামী ব্যাংকিং এ্যাওয়ার্ড’ (২০১৪), ‘রেমিট্যান্স এ্যাম্বাসেডর অব বাংলাদেশ’ উপাধি (২১১২) ‘র্যাপোর্ট বাংলাদেশ এ্যাওয়ার্ড’ (২০১১)-সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা পান। অবসর জীবনে তিনি পড়াশুনা ও লেখালেখিতে আত্মনিয়োজিত রয়েছেন।