আল্লাহ পাক ও মানুষের মধ্যে অতি মধুর সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। এমন সম্পর্কের নযীর সারা দুনিয়ায় আর কোথাও মিলে না। শাসকের সাথে শাসিতের যে সম্পর্ক, সবলের সাথে দূর্বলের যে সম্পর্ক, শিল্পীর সাথে তার শিল্পের যে সম্পর্ক, অকৃপণদাতার সাথে কৃতজ্ঞচিত্ত দান গ্রহীতার যে সম্পর্ক বিরাজমান আছে তাদের সাথে আল্লাহ ও মানুষের সম্পর্কের সাথে মোটেই তুলনা করা চলে না। এ সম্পর্ক নিতান্ত গভীর, অতি সুক্ষ্ম, সুমহান, অতিশয় মজবুত এবং অপরিসীম বিস্তৃত। এ সম্পর্কের সঠিক জ্ঞান ব্যতীত কেউই নামাযের আবশ্যকতা, মাহাত্ম্য ও হাকীকত উপলব্ধি করতে পারবে না। মহান আল্লাহ পাকের সিফাত ও গুণরাজি এ সম্পর্কের একমাত্র উৎস। সুতরাং এ সম্পর্কের যথার্থ পরিচয় লাভের জন্য মহান আল্লাহর গুণরাজির একটি সঠিক ধারণা অবশ্যই অর্জন করতে হবে। কারণ, দুটি সত্তার গুণগত ধারণা না থাকলে পারস্পরিক সম্পর্কের সঠিক রূপ উপলব্ধি করা চলে না। এ জন্যই সকল আসমানী কিতাব মানুষের কাছে সর্বাগ্রে মহান আল্লাহর গুণরাজিই তুলে ধরার উপর গুরুত্ব প্রদান করেছে। তাঁর সম্পর্কে মানুষের আকীদা ও বিশ্বাসের সংশোধন করেছে এবং তারপর অন্যান্য হুকুম-আহকাম জারী করেছে। দাওয়াত ও তাবলীগের এ নীতিই সকল নবী-রাসূল আলাইহিমুস সালাম অবলম্বন করেছেন। মহান আল্লাহ পাকের চিরন্তন • ও সর্বশেষ পয়গাম আল-কুরআনের প্রতিটি ছত্রই এ কথার সত্যতা প্রমাণ করে।