মনে করা হয়, পৃথিবীতে প্রায় দুশোটি ভাষাবংশ প্রচলিত আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাষাবংশ হচ্ছে ২৮/২৯টি। ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, 'এ পর্যন্ত ছাব্বিশটি ভাষাগোষ্ঠী নির্দিষ্ট করা হয়েছে।' ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ এর মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী ভাষাবংশ। অনুমান করা হয়, প্রায় পাঁচহাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দে ইন্দো- ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর উদ্ভব হয়। আদিম ইন্দো-ইউরোপীয় মূল ভাষাটির আঞ্চলিক অবস্থান কোথায় ছিল তা নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। প্রফেসর স্ক্রদার বা শ্রোয়েডারের মতে, ইউরোপের ভোল্লা নদীর মোহনার চারদিকের স্থানসহ কাস্পিয়ান সাগরের তীরবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চলেই ইন্দো- ইউরোপীয় মূল ভাষাবংশের আদি বাসভূমি ছিল। অপর মত, ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার প্রাচীন বাসস্থান ছিল স্ক্যান্ডিনেভিয়া এবং উত্তর জার্মানির পাশাপাশি অঞ্চল অথবা দানিয়ুব উপত্যাকা বিশেষত হাঙ্গেরীর সমতল ভূমি। মতদ্বয়ের মধ্যে প্রথমটিই বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে থেকে খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দের মধ্যে ঐ ভাষীর একদল মানুষ এশিয়া মাইনর হয়ে ইরানে এসে বসতি স্থাপন করে। আদিম ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার দুটি শ্রেণি আবিষ্কার করেন ভাষাবিজ্ঞানী এসকেলি ১৮৭০ সালে- কেন্তুম ও শতম নামে। ভাষাতাত্ত্বিকগণ মনে করেন, ইরানে থাকাকালে আর্যদের মধ্যে শতম উপভাষা বেশ ভালোভাবে বিকশিত হয়। পণ্ডিতগণ এ উন্নত ভাষার নাম দিয়েছেন ইন্দো-ইরানি অথবা আর্যভাষা। ভাষাতাত্ত্বিকগণ মনে করেন, খ্রিস্টপর্ব ১৫০০ থেকে ৬০০ অব্দের মধ্যেই বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে আর্যগণ। তারা পূর্ব ইরান থেকে বিভক্ত হয়ে কাবুল উপত্যকা ধরে ভারতে প্রবেশ
কবি মােহাম্মদ আসাদুজ্জামান ০১ জানুয়ারি, ১৯৫৭ সালে শেরপুর জেলাস্থ শ্রীবরদী উপজেলাধীন কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের গড়খােলা গ্রামে নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম- মােঃ আখতারুজ্জামান সরকার (ছােটো মিয়া) এবং মাতার নাম- রমিছা খাতুন। নিজ বাড়িতে দাদার গড়া মক্তবে লেখা-পড়ায় হাতে খড়ি। গােরবীকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , গােবরীকুড়া এ. কে. উচ্চ বিদ্যালয়, টেঙ্গুর পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং জামালপুর আশেক মাহমুদ কলেজ-এ অধ্যয়ন করেন । ১৯৭৯ শিক্ষাবর্ষে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং পরবর্তীতে এল.এল.বি. ডিগ্রী লাভ করেন। বিশিষ্ট কবি, সংগীত পরিচালক মােঃ হাবিবুর রহমানের কাছে ১৯৭২ সালে সংগীতে তালিম নেয়া শুরু করেন। ছায়ানট সংগীত বিদ্যায়তন থেকে রবীন্দ্র সংগীত এবং লােক সংগীত বিষয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি দু'টো সার্টিফিকেট কোর্স উত্তীর্ণ তিনি।। বিশ্ব নাট্যজন রামেন্দু মজুমদারের হাত ধরে থিয়েটার নাট্য গােষ্ঠীর হয়ে মঞ্চ নাটকে অভিয় শুরু করেন ১৯৮১ থেকে। দেশে-বিদেশের মঞ্চে অভিনয় করে বিশেষভাবে প্রশংসিত হােন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত গীতিকার, কণ্ঠশিল্পী এবং নাট্যশিল্পী।