বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সর্বকালের সেরা একটি আত্মজীবনী মূলক ইতিহাস গ্রন্থ । যেটি ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জাতীয় পুরষ্কার অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। প্রথম আলো বর্ষসেরা বইয়ের ও বাংলা একাডেমি জাতীয় সাহিত্য পুরষ্কার প্রাপ্তি অন্যতম। মূলত পুরো বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ব থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস ও তার ব্যক্তিজীবন নিয়ে লেখা । হায়দার আকবর খান রনোর মতো রাজনৈতিক নেতা ও দেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব যখন আত্মজীবনী লেখেন, তখন তা হয়ে দাঁড়ায় রাজনৈতিক দলিল। মার্কসীয় তত্ত্ব, রাশিয়ান ও সোভিয়েতের বিভিন্ন তত্ত্ব, রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন এমনকি সাহিত্য ও বিজ্ঞান নিয়েও তার রয়েছে অনেক রচনা। কিন্তু জীবনীমূলক এ বই রাজনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতির আত্মানুসন্ধান। ষাটের দশকের শুরু থেকে বিংশ শতাব্দীর পুরোটা জুড়ে সংগ্রাম ও রাজনৈতিক ঘটনাবলীর অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ লেখাটি যখন ধারাবাহিকভাবে খবরের কাগজে প্রকাশিত হচ্ছিল, তখনই পাঠকের কৌতূহল সৃষ্টি করেছিল। আত্মজীবনী হলেও গ্রন্থের পরিধি ও বিস্তার বহুদূর পর্যন্ত জাতীয় রাজনীতি থেকে কমিউনিস্ট আন্দোলন, দেশ থেকে বিদেশ, ব্যক্তিজীবন থেকে সমাজজীবন, বড় বড় রাজনৈতিক ঘটনা থেকে ছোট ছোট চমকপ্রদ কাহিনী- যা গ্রন্থটিকে বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্য দান করেছে। ইতিহাসের উপাদান ও তত্ত্বের গভীরতাও পাঠক পাবেন গল্পের ঢং-এ লেখা এ রচনা থেকে, যদিও লেখক বইটিকে ইতিহাস বা তাত্ত্বিক রচনা বলতে রাজি নন। শতাব্দী পেরিয়ে বইতে লেখক পেছনের দিনগুলির দিকে ফিরে তাকিয়েছেন, কিন্তু অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন নতুন শতাব্দীর দিকে। আত্মজীবনী মূলক ইতিহাস ও রাজনৈতিক গ্রন্থ । মূলত পুরো বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ব থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস ও তার ব্যক্তিজীবন নিয়ে লেখা । হায়দার আকবর খান রনোর মতো রাজনৈতিক নেতা ও দেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব যখন আত্মজীবনী লেখেন, তখন তা হয়ে দাঁড়ায় রাজনৈতিক দলিল। মার্কসীয় তত্ত্ব, রাশিয়ান ও সোভিয়েতের বিভিন্ন তত্ত্ব, রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন এমনকি সাহিত্য ও বিজ্ঞান নিয়েও তার রয়েছে অনেক রচনা। কিন্তু জীবনীমূলক এ বই রাজনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতির আত্মানুসন্ধান। ষাটের দশকের শুরু থেকে বিংশ শতাব্দীর পুরোটা জুড়ে সংগ্রাম ও রাজনৈতিক ঘটনাবলীর অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ লেখাটি যখন ধারাবাহিকভাবে খবরের কাগজে প্রকাশিত হচ্ছিল, তখনই পাঠকের কৌতূহল সৃষ্টি করেছিল। আত্মজীবনী হলেও গ্রন্থের পরিধি ও বিস্তার বহুদূর পর্যন্ত জাতীয় রাজনীতি থেকে কমিউনিস্ট আন্দোলন, দেশ থেকে বিদেশ, ব্যক্তিজীবন থেকে সমাজজীবন, বড় বড় রাজনৈতিক ঘটনা থেকে ছোট ছোট চমকপ্রদ কাহিনী- যা গ্রন্থটিকে বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্য দান করেছে। ইতিহাসের উপাদান ও তত্ত্বের গভীরতাও পাঠক পাবেন গল্পের ঢং-এ লেখা এ রচনা থেকে, যদিও লেখক বইটিকে ইতিহাস বা তাত্ত্বিক রচনা বলতে রাজি নন। শতাব্দী পেরিয়ে বইতে লেখক পেছনের দিনগুলির দিকে ফিরে তাকিয়েছেন, কিন্তু অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন নতুন শতাব্দীর দিকে।
Title
শতাব্দী পেরিয়ে (বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২১)
Hayder Akbor Khan Rano জন্ম : ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দ, কলিকাতা। হায়দার আকবর খান রনো বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় নেতা। একই সঙ্গে জননেতা ও তাত্ত্বিক। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তেইশটি। রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন, বিজ্ঞান ও সাহিত্য নিয়ে তিনি গ্রন্থ রচনা করেছেন। প্রবন্ধের সংখ্যা অসংখ্য। ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার ছাত্র থাকা অবস্থাতেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তখনই নিষিদ্ধ ঘোষিত গোপন কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। কমিউনিস্ট আন্দোলনের বিভিন্ন ভাঙা-গড়া ও বাঁকমোড়ে তিনি ভূমিকা রেখেছিলেন। ’৬২-র সামরিক শাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা, ষাটের দশকে নতুন ধারার জঙ্গি শ্রমিক-আন্দোলনের অন্যতম স্থপতি, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক, ’৭১-এর রণাঙ্গনের সৈনিক, ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম রূপকার হায়দার আকবর খান রনো’র জীবন বৈচিত্র্যে ভরপুর। বারবার কারাবরণ ও আত্মগোপন জীবন এবং রাজনৈতিক সংগ্রামের পাশাপাশি তিনি লিখে চলেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য।