বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয় ১৯৭৫এর ১৫ই অগাষ্ট অতি প্রত্যুষে। এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় কতিপয় জুনিয়র সেনা কর্মকর্তাদের দ্বারা। এ হত্যাকান্ডকে গুপ্তহত্যা কিংবা পুরোপুরি সামরিক অভ্যুত্থানজনিত ব্যাপারও বলা যায় না। এটা ছিল এক বিচিত্র ঘটনা। সামরিক বাহিনীর কজন বিপথগামী সেনাসদস্য মিলে ইতিহাসের জঘন্যতম এ কান্ডটি ঘটিয়েছিল। বলা হয়, কার্যকারণ ব্যতীত কোনো ঘটনা ঘটে না। মুজিব হত্যার পশ্চাতেও কার্যকারণ ছিল। তবে সেই কার্যকারণে এতোটা নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটা কিছুতেই সংগত ছিল না। এবার পূর্বাপর ঘটনাবলী আলোচনা করে দেখা যাক। ১৯৭২-এর ১০ই জানুয়ারী শেখ মুজিব পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে এসে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অবশ্য তাঁর জন্য রাখা হয়েছিল রাষ্ট্রপতির পদ। রাষ্ট্রপতির পদে আসেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। ৭১-এর যুদ্ধকালীন সময়টা গেছে আতংক উৎকণ্ঠায় শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মধ্য দিয়ে। আর ৭২এ শান্ত পরিবেশ ছিল না। অরাজকতা, চুরি, ডাকাতি- বিভিন্ন মুখী সংঘাত সমস্যা, খাদ্যাভাব চারিদিক থেকে ঘিরে ধরলো সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত বাংলাদেশকে।