"নিজে নিজে শিখি: পাইথন প্রোগ্রামিং(বেসিক)" বইয়ের ভূমিকাঃ বাংলাদেশে বর্তমানে প্রােগ্রামিং বিষয়টি বেশ জনপ্রিয়। আর সবচেয়ে আশার কথা হলাে এখন পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত দেশের মতােই এখন আমাদের দেশের শিশু-কিশােররাও ধীরে ধীরে স্কুলজীবন থেকেই প্রােগ্রামিং-এ আগ্রহী হয়ে উঠছে। সরকারও এই আগ্রহ লক্ষ্য করে ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্যবইয়ে প্রােগ্রামিংকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। প্রােগ্রামিং কী এটা কি খায় না পরে না মাথায় দেয় এই প্রশ্নের সমাধান যখন আমাদের কিশাের তরুণরা তাদের পাঠ্যবই থেকে পাচ্ছে, তখন এই বইটি তাদের প্রােগ্রামিং বিষয়ের অদম্য কৌতূহলকে কিছুটা মেটানাের চেষ্টা করার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। প্রােগ্রামিং এখন বিশ্বজুড়ে নেতৃস্থানীয় পেশার নাম। এর চাহিদাও তাই আকাশছোঁয়া। আগামী ২০২০ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রে ১০ লাখ, ইউরােপে ৯ লাখ এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য সব দেশ মিলিয়ে প্রায় ২৫ লাখ প্রােগ্রামার প্রয়ােজন। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শুধু সৌদি আরবে ২ লাখের মতাে প্রােগ্রামার প্রয়ােজন। আমাদের দেশেও দক্ষ প্রােগ্রামার খুঁজে পাওয়া যায় না। সামনে তাদের কদর আরও হবে। বর্তমানে পৃথিবী নামক গ্রহটিতে প্রচলিত প্রােগ্রামিং ভাষাগুলাের মধ্যে মােটামুটি প্রথম ৫টি ভাষার মধ্যে পাইথনের অবস্থান রয়েছে। পথিবীর অনেক দেশেই প্রােগ্রামিং-এ হাতেখড়ি নেবার জন্য পাইথন ভাষাটিকে বেছে নেওয়া হয়। বিশেষ করে সহজবােধ্যতার কারণে স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েরা প্রােগ্রামিং শিখতে পাইথনের দ্বারস্থ হয় বেশি। কিন্তু তাতে পাইথনকে কম শক্তিশালী ভাবার কোনাে কারণ নেই। পাইথন ল্যাঙ্গুয়েজটি পৃথিবীর বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রােগ্রামিং শেখার পাঠ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতে পাইথন ব্যবহার করে সহজেই প্রােগ্রামিং বিষয়টি হাতেকলমে শিখতে পারে সেজন্য বইটি সহজ ভাষায় ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ উপযােগী হিসেবে রচিত হয়েছে। মােটামুটি হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পাইথন প্রােগ্রামিং শেখার জন্য বেছে নিতে পারে। বইটিতে অনিচ্ছাকৃত কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে যেতে পারে। বইটির উল্কর্ষ সাধনে পাঠক মহলের যে কোনাে পরামর্শ সাদরে গ্রহণীয়।
বাংলা ভাষায় আইসিটি বিষয়ক প্রকাশনার অগ্রদূত মাহবুবুর রহমান, এ পর্যন্ত বই লিখেছেন ১০৮টি। বাংলাদেশে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ১৯৯২ সাল থেকে নিবেদিতভাবে তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে লিখে চলেছেন। দেশে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবে আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইন্সটিটিউট কর্তৃক ‘ওয়ার্ল্ড হুজ হু’ এর নবম সংস্করণে তাঁর জীবনী প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর লেখা বই বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলা ভাষাভাষীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ার বিখ্যাত পাবলিক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া পাহাং (ইউএমপি)-তে পিএইচডি গবেষক হিসেবে কাজ করছেন।